বেআইনি: চাষের জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র
চাষের জমি থেকে বেআইনি ভাবে মাটি কাটার বিরুদ্ধে একাধিকবার সোচ্চার হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রকাশ্যেই চাষের জমি থেকে মাটি কাটা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা ১ পঞ্চায়েতের পশ্চিম চ্যাংদানা গ্রামে। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, শাসকদলের একাংশের মদতে চলছে বেআইনি কারবার। প্রতিবাদ করলে গ্রামবাসীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম চ্যাংদানা এলাকায় প্রায় ১০ বিঘা চাষের জমি থেকে দিনের আলোয় মাটি পাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন মাটি কেটে ছোট ট্রাক ও ট্রাক্টর ট্রলিতে বোঝাই করে তা বিভিন্ন জায়গায় পাচার করা হচ্ছে।
কয়েকজন স্থানীয় চাষি জানালেন, বিনা অনুমতিতেই জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে। কয়েকজন চাষি আবার জানালেন, আশপাশের কয়েকটি জমি থেকে মাটি কেটে নেওয়ায় তাঁদের উঁচু জমিতে আর জল দাঁড়াচ্ছে না। এতে চাষের ক্ষতি হচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে তাঁদেরও জমি থেকে মাটি কেটে ফেলতে হচ্ছে।
গ্রামের বাসিন্দা ও চাষি আলিবুদ্দিন সাহাজি বলেন, ‘‘সম্প্রতি সকালে খেতে এসে দেখি, জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। প্রতিবাদ করায় হুমকি দেওয়া হয়। আমার মতো একই পরিস্থিতির শিকার আরও অনেকে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মাটি পাচারের সঙ্গে নেতা, পুলিশ ও প্রশাসনের একাংশ জড়িত। তাই প্রকাশ্যে মাটি কাটা হলেও কেউ তা দেখতে পাচ্ছে না।’’
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরাও। বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক তরুণকান্তি ঘোষ বলেন, ‘‘ওই গ্রামে প্রায় ৩-৪ ফুট গভীর করে চাষের জমি থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। সেই মাটি দিয়ে বিভিন্ন পুকুর এবং জলাশয় ভরাট করা হচ্ছে। প্রশাসন সব দেখেও চোখ বুজে আছে।’’
এ বিষয়ে দেগঙ্গা ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক সূর্যকান্ত মিদ্যে বলেন, ‘‘বেআইনি ভাবে মাটি কাটার কোনও লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবুও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’ জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ বলেন, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। খোঁজখবর নিয়েদেখছি।’’
দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তুষারকান্তি দাস জানান, বেআইনি ভাবে মাটি কাটার বিষয়টি শুনেছেন। পুলিশকে জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, কোনও জমির চরিত্র পরিবর্তন করা যাবে না। এরপরেও কেউ যদি বেআইনি ভাবে মাটি কাটে, তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। পুলিশ জানায়, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy