সন্দেশখালির কলোনি পাড়ায় এক বাড়ি গিয়ে কথা বলছেন সন্দেশখালির ২ বিডিও অরুন কুমার সামন্ত —ফাইল চিত্র।
বছর ছয়েক আগে তৃণমূলের তরফে দলের সন্দেশখালি ২ ব্লক সভাপতি করা হয়েছিল শিবপ্রসাদ (শিবু) হাজরাকে। তার পর থেকেই তাঁর বাড়বাড়ন্ত!
শিবু গ্রেফতার হওয়ার পরে এমনটাই দাবি করছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। গ্রামবাসীদের পাশাপাশি তাঁরাও স্বস্তিতে। তাঁরা মনে করছেন, শাহজাহান-উত্তম-শিবুর জন্য দলের মুখ পুড়েছে। এই অবস্থায় পিছনের সারিতে চলে যাওয়া দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তির পুরনো নেতাদের আবার গুরুত্ব দিয়ে ফিরিয়ে আনার দাবিও উঠছে। শিবপ্রসাদের গ্রেফতারের খবর সামনে আসার পর থেকে তাঁর অনুগামীরাও অনেকে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন।
তৃণমূলের এক অঞ্চল সভাপতি মনে করছেন, শিবপ্রসাদকে যদি আরও আগে গ্রেফতার করা হত, তা হলে সন্দেশখালির আন্দোলন এত বড় হত না। তিনি বলেন, ‘‘ব্লক সভাপতি হওয়ার পর থেকেই শিবপ্রসাদ বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। একনায়কতন্ত্র চালাতেন। শাহজাহানের হাত তাঁর মাথায় ছিল। তাই কেউ কিছু করতে পারত না। শাহজাহানের কাছে শিবপ্রসাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানালেও কাজ হত না। কেউ অভিযোগ জানালে তাঁকেই বিপদে পড়তে হত। দু’জন ধরা পড়েছে। শাহজাহানকে ধরা হোক।”
সন্দেশখালির তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, “শিবপ্রসাদের বিভিন্ন কাজ মানতে পারিনি কখনও। তবে আমাদেরও ভয় ছিল, যদি অত্যাচার করে বিজেপি বলে দেগে দেয়! তাই চুপ ছিলাম। দল চোখ বন্ধ করেছিল এত দিন। এ বার আমরা খুশি।”
স্থানীয় এক পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, ‘‘শিবপ্রসাদ-সহ যে সব নেতার বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ আছে, তাঁদের জায়গায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তির পুরনো নেতাদের সামনের সারিতে নিয়ে আসুক দল। এতে দলের ভাল হবে।”
এলাকায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, সন্দেশখালি পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা বর্তমানে সন্দেশখালি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিককে শিবপ্রসাদের রোষের মুখে পড়ে এলাকা ছাড়তে হয়েছে। দিলীপ এখন সোনারপুরে থাকেন। কয়েক দিন আগে শিবপ্রসাদ সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে দিলীপের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। দিলীপ বাম-বিজেপি নেতাদের সঙ্গে মিলে তাঁর ক্ষতি করছে বলে অভিযোগ করেন। সন্দেশখালিতে গোলমালের জন্য দিনকয়েক আগে সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন শিবপ্রসাদের এক কর্মী। তাতে একইসঙ্গে অভিযুক্ত করা হয়েছিল দিলীপ মল্লিককেও।
তৃণমূলের একাংশ মনে করছে, শিবপ্রসাদের অনুপস্থিতিতে দিলীপ যাতে ব্লক সভাপতি হতে না পারেন, সেই কারণে তাঁর নামেও থানায় অভিযোগ করা হয়। দিলীপকে রবিবার ফোন করা হলে তাঁর স্ত্রী ধরে বলেন, “শিবপ্রসাদকে নিয়ে কিছু বলতে পারব না। আমরা এখন সোনারপুরে থাকি। স্বামী বাড়ি নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy