—প্রতীকী ছবি।
স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পরে সেপটিক ট্যাঙ্কে দেহ ফেলে দেওয়ার কথা জেরায় কবুল করলেও তিন বছর আগে ব্যবহার করা নিজের মোবাইল ফোনের নম্বর এখনও তদন্তকারীদের জানাতে পারেনি ধৃত অভিযুক্ত। সেই জট কাটাতে এ বার সোনারপুর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চলেছেন সিআইডি-র তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, ২০২০ সালের মার্চ মাসে টুম্পা মণ্ডল নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পরে সোনারপুর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন তাঁর বাবা। পুলিশ টুম্পার স্বামী ভোম্বল মণ্ডলকে সে সময়ে গ্রেফতার করলেও টুম্পার খোঁজ মেলেনি। পরে জামিন পায় সে। ওই সময়ে পুলিশ ভোম্বলের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছিল কি? তখন সে যে নম্বর ব্যবহার করছিল, সেই সংক্রান্ত তথ্য সোনারপুর থানার কাছে থাকার কথা। তাই সিআইডি-র তরফে সেই তথ্য এবং নথি নেওয়ার জন্য থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে বলে সিআইডি সূত্রের খবর।
তদন্তকারীরা জানান, জেরার মুখে ভোম্বল বার বারই দাবি করছে, খুনের ঘটনায় আর কেউ জড়িত ছিল না। কিন্তু এ বিষয়ে নিশ্চিত হতেই ভোম্বলের সেই সময়কার ফোন নম্বর জানা প্রয়োজন সিআইডি তদন্তকারীদের। একমাত্র তা হলেই খুন করার আগে বা পরে সে কারও সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিল কি না, সেই সংক্রান্ত তথ্য জানা সম্ভব হবে। সেই জন্যই সোনারপুর থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। সে সময়ে তদন্তে নেমে তারা যে সব তথ্য বা নথি পেয়েছিল, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। এক তদন্তকারী জানান, ঘটনার পরে কেটে গিয়েছে তিন বছর। ফলে ফোনকল সংক্রান্ত বিশদ তথ্য মোবাইল পরিষেবা সংস্থার কাছ থেকে সহজে না-ও মিলতে পারে। আদালত বিশেষ অনুমতি দিলে তবেই তিন বছরের পুরনো ওই কল রেকর্ড পাওয়া সম্ভব। সেই আবেদনের আগে স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
সিআইডি জানিয়েছে, ভোম্বল এবং টুম্পার সম্পর্ক কেমন ছিল, তা জানতে চলতি সপ্তাহেই তাঁদের ঘনিষ্ঠ আট আত্মীয়কে ভবানী ভবনে ডাকা হয়েছে। দু’পক্ষেরই কয়েক জনকে যেমন ডাকা হয়েছে, তেমনই সোনারপুরের যে ভাড়া বাড়িতে ওই খুনের ঘটনা ঘটেছে, তার মালিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy