হাসপাতালের ভিতরে। নিজস্ব চিত্র।
কেউ নাগাড়ে হাতপাখা নেড়ে যাচ্ছেন। কেউ নিরুপায় হয়ে বাড়ি থেকেই টেবিল ফ্যান এনে মাথার কাছে বসিয়েছেন। কারও সে সুযোগ না থাকায় গরম সহ্য করেই কাটাতে হচ্ছে। এমন অবস্থায় রোগীদের কেউ কেউ আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নির্বিকার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে রোগীদের ওয়ার্ডে দেখা গেল এমনই ছবি।
হাসপাতালের সুপার অর্ঘ্য চৌধুরীর দাবি, ‘‘হয়তো কিছু সমস্যা আছে। তবে আমরা সব সময় নজর রাখি। কোনও সিলিং ফ্যান খারাপ হলে সঙ্গে সঙ্গে তা সারানোর ব্যবস্থা করা হয়।’’
যদিও হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল ভিন্ন ছবি। হাসপাতালের পুরুষ, মহিলা ও শিশু বিভাগে ভর্তি থাকা রোগীরা গরমে হাঁসফাঁস করছেন। বহির্বিভাগে রোগীদের গলদঘর্ম অবস্থা। চিকিৎসার জন্য আসা শিশুরা কাঁদছে। শিশুকোলে এক মহিলা বলেন, ‘‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের রোগীদের কথা ভাবা উচিত। উপরে পাখা চললেও তার হাওয়া গায়ে লাগে না। গরমে বাচ্চা কাঁদছে। আমাদেরও অসুবিধা হচ্ছে। এ দিকে সরকার বলছে হাসপাতালে উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু আমরা তো তা দেখতে পাচ্ছি না।’’ গরম থেকে রেহাই পেতে বিভিন্ন ওয়ার্ডে অধিকাংশ রোগীর বিছানার পাশে লাগানো হয়েছে বাড়ি থেকে আনা টেবিল ফ্যান। অথচ মাথার উপরে রয়েছে পাখা। তা এতটাই আস্তে ঘুরছে যে হাওয়া রোগীর গায়ে লাগে না। রোগীদের অভিযোগ, ঠিকমতো রক্ষমাবেক্ষণ না হওয়ায় পাখাগুলির এমন দশা। গরমে রোগীরা কষ্ট পেলেও পাখাগুলি সারানোর কোনও উদ্যোগ নেই হাসপাতালের।
হাসপাতালের চিকিৎসক সমর রায় বলেন, ‘‘প্রচণ্ড গরমে বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রোদে যতটা সম্ভব কম বেরোতে বলা হচ্ছে। রোদে বেরোলেও টুপি, ছাতা, রোদচশমা ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি আমরা। অথচ হাসপাতালের ভিতরেই গরমে কাহিল রোগীরা।’’
রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য পরেশরাম দাস বলেন, ‘‘রোগীদের সমস্যার কথা ভেবে আমরা বেশ কিছু নতুন পাখা লাগিয়েছি। সেইসঙ্গে পুরনো পাখাগুলিও মেরামত করা হয়েছে। এরপরেও যদি রোগীদের সমস্যা হয় তা হলে রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে আরও নতুন ফ্যান লাগানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy