আটক: বসিরহাটে ছবিটি তুলেছেন নির্মল বসু
বসিরহাটের পথঘাটে দুর্ঘটনার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তার প্রধান কারণ হল রাস্তার পাশে পড়ে থাকে ইমারতি দ্রব্য। সঙ্গে রয়েছে আবর্জনার পাহাড়।
জেলা পুলিশের নির্দেশে এই ইমারতি দ্রব্য রাস্তার পাশ থেকে সরাতে নড়ে চড়ে বসল প্রশাসন। শুক্রবার রাস্তার পাশে পড়ে থাকা ইট, বালি বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। বসিরহাট থানার আইসি নাসিম আকতার জানান, ইমারতি দ্রব্য রাস্তায় পড়ে থাকলে পুলিশ বাজেয়াপ্ত কবরে। মালিকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। পাশাপাশি আর্বজনাও যদি রাস্তায় পড়ে থাকে তার জন্য দিতে হবে জরিমানা। এ ক্ষেত্রেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, রাস্তার পাশে ইমারতি দ্রব্য ফেলা রাখার জন্য অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে। তবু মানুষ সচেতন হচ্ছে না। তা ছাড়া বসিরহাট থানার গেটের কাছে পড়ে আছে আবর্জনা। দুর্গন্ধে মানুষ ইটিন্ডা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পারছেন না। এমনকী পুলিশকর্মীদেরও থানাতে টেকা দায় হয়ে গিয়েছে।
এ দিন পুলিশ কর্তার নির্দেশের পর জঞ্জাল পরিষ্কার হয়। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে সামনের দোকানগুলির ব্যবসায়ীদের আর্বজনা রাস্তায় না ফেলার অনুরোধ জানানো হয়। এরপরেই ইটিন্ডা এবং টাকি রাস্তার ধার থেকে ইমারতি দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করা হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, সম্প্রতি বসিরহাট দিয়ে যাওয়ার সময় এক পুলিশকর্তার গাড়ি রাস্তার পাশে থাকা বালি, পাথরে আটকে যায়। দুর্ঘটনাও ঘটতে পারত সেদিন। এরপরেই জেলা পুলিশ নির্দেশ দেয় যে, শহরের বড় রাস্তার পাশে থাকা সমস্ত ইট, বালি, পাথর সরাতে হবে। কোনও লরি অথবা বেআইনি ভাবে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি বাজেযাপ্ত করা হবে।
পুলিশের এ ধরনের অভিযানে খুশি শহরবাসী। তাঁদের কথায়, ‘‘প্রায় প্রত্যেকদিন সকালে দেখা যায় ইটিন্ডা এবং টাকি রাস্তার উপর গাড়ি রেখে ইট, বালি কিংবা পাথর রমরমিয়ে বিক্রি চলছে। এ সবের ফলে রাস্তা সরু হয়ে যাচ্ছে। বাড়ছে দুর্ঘটনা।’’ এই অভিযান নিয়মিত চললে দুর্ঘটনাও কমবে বলে আশা এলাকাবাসীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy