প্রতীকী ছবি
দলীয় কার্যালয় থেকে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হলেন যুব তৃণমূলের এক নেতা। শনিবার দুপুরে জগদ্দলের বাবু কোয়ার্টার্স বাজারের কাছে ঘটনাটি ঘটে। মুনিল রজক নামে ওই তৃণমূল নেতা কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ, দু’জন দুষ্কৃতী তাঁকে তাড়া করে গুলি করে। গুলি তাঁর ডান উরুতে লাগে। তৃণমূলের অভিযোগ, এই ঘটনায় বিজেপির দুষ্কৃতী দল জড়িত। বিজেপি পাল্টা অভিযোগ, নিজের আগ্নেয়াস্ত্র থেকেই গুলি ছুটে জখম হয়েছেন ওই নেতা। কয়েকটি ঘটনায় পুলিশের খাতায় মুনিলের নাম রয়েছে। জগদ্দলের তৃণমূল নেতা সোমনাথ শ্যাম জানান, এ দিন দুপুরে তাঁর পার্টি অফিসেই ছিলেন জগদ্দলের ৯ নম্বর গলি ওয়ার্ডের যুব তৃণমূলের সভাপতি মুনিল। ত্রাণ বিলির কাজ শেষ করে দুপুর দু’টো নাগাদ তিনি স্কুটারে করে বাড়ি ফিরছিলেন। মুনিল পুলিশকে জানিয়েছেন, বাবু কোয়ার্টার্স বাজারের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি মোটরবাইক তাঁর পথ আটকানোর চেষ্টা করে। তিনি কোনও রকমে পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যান। বাইকে চালক ছাড়াও এক আরোহী ছিল। বাইকটি পাল্টা পিছন থেকে তাড়া করে তাঁকে। এক সময়ে পাশাপাশি চলে আসায় দু’টি বাইকই ছিটকে পড়ে। ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন মুনিল। অভিযোগ, সে সময়ে পিছন থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে পর পর তিনটি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। একটি উরুতে লাগে। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে জগদ্দল স্টেট জেনারেল হাসপতালে নিয়ে যান।
সেখান থেকে তাঁকে কল্যাণীর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমনাথের অভিযোগ, মুনিল যে ওয়ার্ডের সভাপতি, সেই ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু বিজেপি কর্মীকে তিনি তৃণমূলে নিয়ে এসেছিলেন। এ ছাড়া লকডাউনের সময় ত্রাণ নিয়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়াচ্ছিলেন বলে বিজেপি তাঁর উপরে হামলা চালিয়েছে। বিজেপির সাংসদ অর্জুন সিংহ বলেন, “এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনও সম্পর্ক নেই। ওর নিজের পকেটেই তো আগ্নেয়াস্ত্র থাকে। কোনও ভাবে সেখান থেকেই গুলি ছিটকে গিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy