ডাল ভেঙে পড়ে রাস্তার ধারে। ছবি: সুজিত দুয়ারি
গাছের ডাল ভেঙে জখম হলেন একজন। বুধবার বিকেলে যশোর রোডের পাশে থাকা আম গাছের ডাল ভেঙে জখম হন পুলক দে নামে এক বাইক চালক।
হাবড়ার হাটথুবার বাসিন্দা পুলক এ দিন যশোর রোড ধরে যাচ্ছিলেন। ওই এলাকাতেই ডাল ভেঙে তাঁর ঘাড়ে, মাথায়, বুকে, পিঠে চোট লেগেছে। বাইকটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়েছে।
ঘটনার পরে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। তাঁদের দাবি, আগেও কয়েক বার ডাল ভেঙে বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। এক ছাত্র মারাও গিয়েছিল। দোকানের উপরে ডাল ভেঙে পড়ে দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ব্যবসায়ীরা নিজেরা ডাল কেটে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। এ দিনের ঘটনার পরে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলেছেন, আর কত দুর্ঘটনা ঘটলে প্রশাসন ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের হুঁশ ফিরবে। যশোর রোডের দু’পাশে গাছের মরা, শুকনো ডাল কাটার দাবি তুলেছেন সকলে। চোংদা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘‘এখন বহু গাছে শুকনো ও বিপজ্জনক ডাল রয়েছে। কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে সুরাহা হচ্ছে না।’’
বারাসত থেকে পেট্রাপোল পর্যন্ত প্রায় ষাট কিলোমিটার পথে বহু জায়গায় শুকনো, মরা ডাল বিপজ্জনক ভাবে ঝুলে আছে। বহু দুর্ঘটনা ঘটেছে এর আগে। পথ অবরোধ হয়েছে। তারপরেও সমস্যা মেটেনি। সাধারণ মানুষের বক্তব্য, নিরাপত্তার স্বার্থে মরা ডাল কাটা জরুরি। কিন্তু তা করতে গিয়ে যেন ভাল ডাল কাটা না হয়, তা-ও দেখা দরকার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, গাছে ঘুঁটে দেওয়া হয়। গাছের গোড়ায় গরম চা ও জল ফেলা হচ্ছে। গাছে পেরেক মেরে বিজ্ঞাপন মারা হয়। এর পাশাপাশি রয়েছে কাঠ চোরদের দৌরাত্ম্য। এ সবের কারণে গাছ ও ডাল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ সব ঠেকানোর জন্য তেমন কোনও নজরদারিও নেই।
প্রশাসন ও জাতীয় সড়ক সূত্রে জানা গিয়েছে, যশোর রোডের পাশে থাকা গাছের মরা শুকনো বিপজ্জনক ডাল চিহ্নিত করা হয়ে গিয়েছে। গত বছর গাইঘাটার চাঁদপাড়া এলাকায় বেশ কিছু গাছ থেকে শুকনো মরা ডাল কাটা হয়েছিল। তারপরে ওই কাজ খুব বেশি এগোয়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। কয়েক মাস আগে প্রশাসনের তরফে পেট্রাপোল থেকে হাবড়া পর্যন্ত পথে ১৬৩টি গাছ চিহ্নিত করা হয়েছিল। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এক আধিকারিকের আশ্বাস, ‘‘শীঘ্রই মরা ও শুকনো ডাল কাটা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy