প্রতীকী ছবি।
দলীয় প্রতীক না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূলের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের সদস্য, প্রধান, উপপ্রধানেরা।
শনিবার ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। গোসাবার শম্ভুনগর পঞ্চায়েতের ১১টি পঞ্চায়েত ও ৩টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে দলীয় প্রতীক না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়ে গিয়েছেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল সদস্যেরা। অভিযোগ, গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর নিজের মতো করে তাঁর লোকজনকে দলীয় প্রতীক দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী সদস্যদের প্রার্থী করার কথা বলেছিলেন। সেই ঘোষণার পরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঠেকাতে প্রথমে বলা হয়েছিল, সকলেই মনোনয়ন জমা দিতে পারে। যারা প্রতীক পাবে না, তাদের পরে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিতে হবে।
ক্যানিং মহকুমার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে শাসক দলের যুযুধান সব গোষ্ঠীর নেতারা তাঁদের মতো করে মনোনয়ন জমা করেছিলেন। পরে দেখা যায়, অনেক পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধান, উপপ্রধানেরা দলীয় প্রতীক পাননি। এ নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাই শেষ দিনে মনোনয়ন প্রত্যাহার না করে বিক্ষুব্ধরা দলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়ে পড়েছেন।
গোসাবা শম্ভুনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য কমল হালদার, মানিক দাস, খোকন হালদার, প্রাক্তন প্রধান বরুণ প্রামাণিকের মতো দলের কর্মী তথা সদস্যেরা প্রতীক না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছেন।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা চিত্ত প্রামাণিক বলেন, ‘‘আমরা দীর্ঘ দিন ধরে দলের সঙ্গে আছি। কিন্তু গোসাবার বিধায়ক নিজের মতো করে সব কিছু করেন। আমরা প্রতিবাদ করায় তাঁর বিরাগভাজন হই। নানা ভাবে চক্রান্ত করে আমাদের দল থেকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন। শেষ পর্যন্ত দলের পুরনো জয়ী সদস্যদের প্রার্থী না করে তিনি তাঁর পছন্দের লোকজনকে প্রার্থী করেছেন। প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’
অভিযোগ উড়িয়ে জয়ন্ত নস্কর বলেন, ‘‘ওঁরা বিধানসভা ভোটের সময়ে দলবিরোধী কাজ করেছিলেন। আরএসপির হয়ে নির্বাচনী কাজ করেছিলেন। সে কারণেই ওঁদের দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।’’
ক্যানিং ১ ব্লকের দাঁড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১টি, হাটপুকুরিয়া পঞ্চায়েতে ১৫টি, গোপালপুর পঞ্চায়েতে ১৬টি, নিকারিঘাটায় ১৮টি, তালদি পঞ্চায়েতে ৩টি আসনে বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যেরা দলীয় প্রতীক না পেয়ে নির্দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জেলা তৃণমূলের ভাইস চেয়ারম্যান শক্তি মণ্ডল বলেন, ‘‘দল যাদের প্রতীক দিয়েছে, তারাই ভোটে লড়বে। আর যারা সিদ্ধান্ত অমান্য করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy