পায়ে-পায়ে: হাবড়ায় সিভিক ভলান্টিয়ারেরা। নিজস্ব চিত্র
এত কাল গ্রামবাসীরা দেখে এসেছেন, ভোটের আগের কয়েক দিন গ্রামের পথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা রুট মার্চ করছেন। ভারী বুটের আওয়াজে ভরসা পেতেন ভোটারেরা। হাতে অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র দেখে সমঝে চলার কথা ভাবতেন।
শনিবার সকালে হাবড়া থানা এলাকার বদরহাট বাজার, বামিহাটি বেড়গুম-সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ অবশ্য রুটমার্চের নামে যা দেখলেন, তাতে ভয়-ভক্তি তো দূরের কথা, স্রেফ হাসাহাসিও চলল। নীল জামা, নীল ট্রাউজার্স পরা হাবড়া থানার সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে ‘রুট মার্চ’ হল। নেতৃত্বে ছিলেন এক পুলিশ অফিসার। যাঁরা ‘রুট মার্চ’ করলেন, তাঁদের হাতে একখানা লাঠিও জোটেনি। কিছু এলাকায় অবশ্য পুলিশ কর্মীরা খাকি পোশাকে রুট মার্চ করেছেন। তবে তাঁদের হাতেও আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না।
বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি বিপ্লব হালদার বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দিয়ে বা সশস্ত্র পুলিশ দিয়ে রুট মার্চ করানো হলে মানুষের মনে ভরসা তৈরি হয়। সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে রুট মার্চ করিয়ে তৃণমূল প্রমাণ করল, তারা নিরাপত্তার প্রশ্নে নিরপেক্ষ নয়।’’ সিপিএমের দাবি, সিভিক ভলান্টিয়াদের দিয়ে করানো এই রুট মার্চ প্রমাণ করছে, ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে।
এই কটাক্ষের জবাবে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার যুক্তি, ‘‘মানুষের উপরে ওদের ভরসা নেই। মানুষের রায়ে ওরা হারতে চলছে বুঝতে পেরে এখন থেকেই কাঁদুনি গাইতে শুরু করেছে।’’
পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, জেলা পুলিশের নির্দেশেই গ্রামে গ্রামে রুট মার্চ করানো হচ্ছে। পুলিশি ভাষায় যাকে বলে এলাকা ‘ডমিনেশন’। থানাগুলির কাছে যথেষ্ট পুলিশ না থাকায় সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ভোটের দিনও বুথে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকেও ডিউটি করতে দেখা যাবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। সে জন্য থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে বিশেষ বৈঠকও করছেন পুলিশ আধিকারিকেরা। ভোটের দিন ভলান্টিয়ারেরা কী ভাবে কাজ করবেন, তা বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। কিন্তু সাধারণ ভোটারদের প্রশ্ন, লাঠি হাতে যান নিয়ন্ত্রণ করা যাঁদের কাজ, তাঁদের দিয়ে এমন উত্তপ্ত বাতাবরণে ভোটের কাজ কি আদৌ করানো সম্ভব?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy