প্রতীকী ছবি
ক্যানিং-বাসন্তী রুটে ইচ্ছে মতো অটো ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠছে অটো চালকদের বিরুদ্ধে। ২০ টাকার জায়গায় ৫০-৮০ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদ করলে যাত্রীদের নানা ভাবে হয়রান করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ।
ক্যানিং থেকে বাসন্তীর বেশ কয়েকটি রুটে অটো চলে। ক্যানিং-ধামাখালি, ক্যানিং-সরবেড়িয়া, ক্যানিং-চুনাখালি ও ক্যানিং সোনাখালি রুটেই সব থেকে বেশি অটো চলাচল করে। সব ক’টি রুটেই অটো ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের। বিশেষ করে ক্যানিং-সোনাখালি রুটের অটো ভাড়ার ক্ষেত্রে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। সেখানে ২০ টাকা ভাড়া হলেও সুযোগ বুঝে সেই ভাড়া বাড়িয়ে চলেছেন অটো চালকেরা।
আনলক পর্ব থেকে কিছুটা ভাড়া বাড়িয়ে কম যাত্রী তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অটো ইউনিয়নের তরফ থেকে। কিন্তু ভাড়া বাড়ানো হলেও যাত্রী কমানো হয়নি বলে অভিযোগ। এক একটি অটোয় ছয়-আটজন যাত্রী এখনও তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি, ভাড়াও এক ধাক্কায় অনেকখানি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার এ নিয়ে বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে অটো চালকদের বচসা হয়। অভিযোগ, যাত্রীদের মাঝরাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে যায় চালক। ক্যানিংয়ের বাসিন্দা শম্ভু মণ্ডল, সুকুমার দাসরা এ দিন বাসন্তী যাওয়ার জন্য অটোয় উঠে এমন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে ইভিযোগ। তাঁরা বলেন, ‘‘ইউনিয়ন থেকে চারজনের বেশি যাত্রী নিতে বারণ করা হলেও তা শুনছেন না অটো চালকেরা। উলটে দ্বিগুণের বেশি ভাড়া হাঁকছেন। আমরা প্রতিবাদ করায় মাঝরাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে যায় অটোটি।’’
এই অটো ইউনিয়নের সম্পাদক সামসুদ্দিন শেখ বলেন, ‘‘বর্তমানে ক্যানিং থেকে বাসন্তী যাওয়ার সব ক’টি রুটই বন্ধ আছে। কারণ, লকডাউনের জন্য এক সপ্তাহ এই রুট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সময় কে বা কারা অটো নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছে বলতে পারব না। তবে ২০ টাকা থেকে ভাড়া বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে অটোয় চারজনের বেশি যাত্রী নিতে বারণ করা হয়েছিল চালকদে।’’ অটো চালক মনিরুল মোল্লা বলেন, ‘‘এখন এমনিতেই রাস্তায় যাত্রী কম। তার উপরে জ্বালানির দাম বেড়েছে অনেকখানি। আগের থেকে কিছুটা ভাড়া বেশি না নিলে আমরা পেরে উঠছি না।’’ তবে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন সব অটো চালকেরাই।
অন্য দিকে, ক্যানিং বাজার এলাকায় লকডাউন চললেও বেশ কিছু অটো চালক এ দিন বাসন্তী থেকে যাত্রী নিয়ে অটো নিয়ে ক্যানিং বাজারে আসায় তাঁদের কান ধরে ওঠবস করান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। করোনা সংক্রমণের জেরে এই এলাকায় সম্পূর্ণ লকডাউন চললেও তা না মানায় এই ব্যবস্থা নেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy