অসম্পূর্ণ রাস্তা দিয়েই চলছে যাতায়াত। ছবি: দিলীপ নস্কর
নদীর উপরে সেতু তৈরির কাজ শেষ হয়েছে প্রায় বছর দু’য়েক। সেতুর একদিকে অ্যাপ্রোচ রোড তৈরির কাজও শেষ। কিন্তু অপরদিকে অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি না হওয়ায় চালু করা যাচ্ছে না সেতু। ফলে সেই নৌকা পারাপারই ভরসা মানুষের।
রায়দিঘির মথুরাপুর-২ ব্লকের রায়দিঘি পঞ্চায়েতের ২৩ নম্বর লাট বাড়িভাঙা গ্রাম ও জয়নগর ২ ব্লকের নলগড়া গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মণি নদী। বহু বছর ধরে দুই ব্লকের মানুষ দড়ি টানা নৌকায় পারাপার করেন। যোগাযোগ ব্যবস্থার সুবিধার জন্য ২০১৫ সালে প্রায় আধ কিলোমিটার চওড়া ওই মণি নদীর উপর কংক্রিটের সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদের প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বছর দু’য়েকের মধ্যে সেতু নির্মাণের কাজ শেষও হয়। নলগড়ার দিকে সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডও তৈরি করা হয়। কিন্ত জমি জটে আটকে যায় উল্টো দিকে ২৩ নম্বর লাট বাড়িভাঙা গ্রামের অ্যাপ্রোচ রোড তৈরির কাজ।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, এই সেতুটি চালু হলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। নলগড়া ও চুপড়িঝাড়া পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ নিত্য প্রয়োজনে সহজেই রায়দিঘি বাজারে যেতে পারবেন। রায়দিঘিতে স্কুল, কলেজ ও হাসপাতালে যাওয়াও সহজ হবে। বর্তমানে নৌকায় ওই নদী পারাপার করেন স্থানীয় মানুষ। সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পারাপার চলে। ফলে রাতের দিকে কোনও রোগীকে রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলে প্রায় ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার ঘুরে পৌঁছতে হয়। নলগড়ায়ও হাইস্কুল রয়েছে। ওই স্কুলে ২৩ নম্বর লাট এলাকায় থেকে অনেক ছাত্রছাত্রী যায়। সাইকেল নৌকায় তুলেই পারাপার করে তারা। ওই স্কুলের এক শিক্ষকের কথায়, “রায়দিঘি থেকে বাইক নিয়ে স্কুলে যাই। কিন্ত নৌকায় বাইক তোলা ও নামানো খুবই সমস্যা হয়। পারাপারের খরচও বেশি। সেতুটি চালু হলে এ সমস্যা আর থাকবে না।”
২৩ নম্বর লাট বাড়িভাঙায় যেখানে অ্যাপ্রোচ রোড হওয়ার কথা, সেখানে জমি রয়েছে গোবিন্দ হালদার, গোপাল হালদারদের। ক্ষতিপূরণ পেলে জমি দিতে আপত্তি নেই বলেই জানান তাঁরা। গোবিন্দ বলেন, “ওই জমির ক্ষতিপূরণের জন্য সকল দফতরে জানিয়েছি। কিন্ত আজও কোনও সুরাহা হয়নি।” তাঁর দাদা গোপাল হালদারের কথায়, “আমি জমি দিতে রাজি। সরকার নির্ধারিত দামে জমির ক্ষতিপূরণ দিয়ে তা অধিগ্রহণ করুক। সপ্তাহ খানেক আগে সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদ থেকে জানানো হয়েছিল টাকা পাঠানো হয়েছে। ব্লক থেকে জানানো হয়, জমির কাগজ জমা দেওয়া হয়েছে। এখনও টাকা আসেনি। আমরাও চাই যত দ্রুত সেতুটি চালু হোক। এলাকার মানুষ সুবিধা পাক।” সুন্দরবন উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা বলেন, ‘‘জমির মালিককে ক্ষতিপূরণের টাকা পাঠানো হয়েছে। দ্রুত অ্যাপ্রোচ রোড তৈরির কাজ শেষ হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy