নাবালিকাকে বিয়ে করার অপরাধে গ্রেফতার। প্রতীকী চিত্র।
নাবালিকাকে লুকিয়ে বিয়ে করায় গ্রেফতার করা হল পাত্র ও তার বাবাকে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হাসনাবাদে। ধৃতদের বুধবার বসিরহাট আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে চাইল্ড লাইনের কাছে খবর আসে এক নাবালিকাকে গোপনে বিয়ে দেওয়ার জন্য ছেলের মামাবাড়িতে আনা হয়েছে। সেখানে পৌঁছে যান চাইল্ড লাইনের হাসনাবাদ সাব সেন্টার ‘কেয়া’র কর্মী কুদ্দুস গাজি। তাঁর দাবি, অভিযুক্তের বাড়িতে পৌঁছে দেখেন, তখনও বিয়ে হয়নি। তবে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিচলছে।
তাঁর অভিযোগ, তিনি সন্দেহ প্রকাশ করায় তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। চাইল্ড লাইন বিষয়টি পুলিশকে জানায়।
রাতেই হাসনাবাদ থানার পুলিশ ওই বাড়িতে হানা দেয়। ততক্ষণে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়ে গিয়েছে। প্রথমে পাত্র-পাত্রীকে লুকিয়ে রাখাহয়েছিল। পুলিশকে মেয়েটির জন্মের শংসাপত্র দেখাতে অস্বীকার করে পরিবার। পরে জেরার মুখে পাত্রপাত্রীকে সামনে আনা হয়। দেখানো হয় শংসাপত্র। দেখা যায়, মেয়েটির বয়স ১৭।
এরপরে চাইল্ড লাইন নাবালিকার বাবা ও পাত্র-সহ তার বাবা, মামা ও দাদুর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করে। পুলিশ অভিযুক্ত পাত্র ও তার বাবাকে গ্রেফতার করে। বাকিরা পলাতক। নাবালিকাকে উদ্ধার করে হোমে পাঠানো হয়।
কুদ্দুস বলেন, ‘‘নারী দিবসের আগের দিনে আমাদের যে ভাবে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে বিয়ে দেওয়া হল, তা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা পুলিশ খবর দিতে বাধ্য হই।এ ক্ষেত্রে পুলিশের পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। বার বার বলা সত্ত্বেও এক শ্রেণির মানুষ নাবালিকা অবস্থায় মেয়েদের বিয়ে দিচ্ছেন। আশা করছি এই ঘটনা দেখে বাকিদের শিক্ষা হবে।’’
হাসনাবাদ থানার আইসি কৃষ্ণেন্দু ঘোষ বলেন, ‘‘বাল্যবিবাহ নিয়ে আমরা নিয়মিত সচেতন করছি মানুষকে। নাবালিকার বিয়ে দিলে কড়া পদক্ষেপও করা হচ্ছে। তবুও কিছু মানুষ ভাবছেন, মেয়ের বয়স ১৬-১৭ বছর হলে বা বিয়ে একবার দিয়ে দিলে আর কেউ কিছু করতে পারবে না। কিন্তু বিষয়টি তা নয়। নাবালিকার বিয়ে অবৈধ। তাঅপরাধ, সেটা বুঝতে হবে সকলকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy