প্রতীকী চিত্র।
মোবাইল ওয়ালেটে কয়েক হাজার টাকা ক্যাশব্যাক জমা হয়েছে— এই তথ্য জানিয়ে ফোন এসেছিল বনগাঁ শহরের রেলবাজার এলাকার বাসিন্দা রাজা মুখোপাধ্যায়ের কাছে। অচেনা নম্বর থেকে আসা ফোন থেকে তাঁকে বলা হয়, ফোন পে অ্যাকাউন্টে জমা টাকা নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করে নিতে। যা করতে গিয়ে রাজার প্রায় ১০ হাজার টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে। প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে মঙ্গলবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। রাজা বলেন, ‘‘৮ নভেম্বর একটি ফোন আসে৷ বলা হয়, আমার ফোন পে-তে গত এক বছরে ক্যাশব্যাক বাবদ তিন হাজারের কিছু বেশি টাকা জমা হয়েছে। সেই টাকা ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মাধ্যমে অনলাইনে আমার অ্যাকাউন্টে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু তা করতে গিয়ে আমার অ্যাকাউন্ট থেকেই উল্টে ১০৩১০ টাকা কেটে নেওয়া হয়। সে টাকা কোন অ্যাকাউন্টে গেল, তা বুঝতেই পারলাম না।’’ দিন কয়েক আগে বারাসতের এক মহিলার কাছে একই রকম ফোন এসেছিল। তাঁকে বলা হয়েছিল, ক্যাশব্যাকে জমা টাকা তুলতে হলে তাদের পাঠানো লিঙ্কে ক্লিক করতে। মহিলা তা করেননি। তাতে আবার ফোনের ও প্রান্ত থেকে রীতিমতো হম্বিতম্বি করা হয়! এ দিকে, অনলাইনে একের পর এক প্রতারণার ঘটনায় চিন্তিত বনগাঁর অনেকে। দিন কয়েক আগে গাঁড়াপোতার বাসিন্দা অনুপ ঘোষের ফেসবুক হ্যাক করা হয়। অভিযোগ, হ্যাক করা হয় তাঁর বন্ধুর তালিকায় থাকা কয়েকজনের প্রোফাইল। ফোন থেকে অনুপের অজান্তেই অর্ডার হয়ে যাচ্ছিল অনলাইনে বিভিন্ন বিপনী সংস্থায়। তিনিও থানায় অভিযোগ করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy