বামনঘাটায় এই নির্মাণ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ছবি: সামসুল হুদা।
সরকারি জমি জবরদখল করে দলীয় কার্যালয় তৈরির অভিযোগ উঠল আরাবুল ইসলাম ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। বাসন্তী হাইওয়ে লাগোয়া বামনঘাটা বাজারের কাছে সেচ দফতরের জায়গা দখল করে নির্মাণ হচ্ছে বলে অভিযোগ। আরাবুল তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মেনে নিয়েই বলেন, ‘‘ওই জমিতে আগে আমাদের দলীয় কার্যালয় ছিল। সেটা ভেঙে যাওয়ায় নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই এলাকায় আমাদের কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসেন। কোন একটি দলীয় কার্যালয়ে সকলে এক সঙ্গে বসতে পারেন না। সকলে মিলে যাতে এক সঙ্গে বসতে পারেন, সে জন্যই এই কার্যালয় তৈরি করা হচ্ছে। তবে যদি কোনও দিন সেচ দফতরের এই জায়গার প্রয়োজন হয়, তখন আমরা নির্মাণ ভেঙে দেব।’’
তৃণমূলের একটি সূত্রে জানানো হয়েছে, বামনঘাটা বাজারে ইতিমধ্যে শাসক দলের ৬-৭টি কার্যালয় রয়েছে। তৃণমূলের বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতারা ওই সমস্ত কার্যালয়ে নিজেদের অনুগামীদের নিয়ে বসেন। ওই এলাকায় অধিকাংশ তৃণমূল নেতা আরাবুলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর বলে পরিচিত। দলীয় সূত্রের খবর, ওই এলাকায় আরাবুল ও তাঁর অনুগামীরা নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতেই আলাদা দলীয় কার্যালয় করছেন।
আরাবুলের ‘খাস তালুক’ পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েত জমি কমিটির দখলে। এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে আরাবুল নিজের ওই এলাকা ছেড়ে বেঁওতা ১ এলাকা থেকে পঞ্চায়েত সমিতির আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। এ বিষয়ে ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফের চেয়ারম্যান নওসাদ সিদ্দিকী বলেন, ‘‘ওরা অনৈতিক ভাবে সরকারি জমিতে দলীয় কার্যালয় তৈরি করছে বলে খবর পেয়েছি। পুলিশকে অনুরোধ করব, অবিলম্বে নির্মাণ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। আসলে আরাবুল ইসলাম ও তাঁর শাগরেদরা ওই এলাকায় সিন্ডিকেট রাজ চালানোর জন্য কার্যালয় তৈরি করছেন।’’ একই অভিযোগ এলাকার সিপিএম নেতা উৎপল মণ্ডলের। তিনি বলেন, ‘‘এই এলাকায় তৃণমূলের ৬-৭ টি দলীয় কার্যালয় থাকা সত্ত্বেও কেন আরও দলীয় কার্যালয় তৈরির প্রয়োজন হয়ে পড়ল? আসলে আরাবুল ওঁর নিজের খাস তালুকে ঢুকতে পারছেন না। সে কারণে এই এলাকায় আশ্রয় নিতে চাইছেন।’’ স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ মণ্ডল বলেন, ‘‘দলের তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে শুনেছি একটি নতুন দলীয় কার্যালয় তৈরি হচ্ছে। পুলিশ এসে কাজ বন্ধ রাখার কথা বলেছিল। সরকারি জায়গায় দলীয় কার্যালয় না হলেই ভাল হত।’’
এ বিষয়ে বিএলআরও অমিতাভও সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘লিখিত অভিযোগ পাইনি। ওই জমিটি সরকারি কি না খোঁজ নিয়ে দেখছি। সেই মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy