দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি হাইস্কুল মাঠে ‘শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ’-এর পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
রাজ্যের প্রায় ১০ হাজার মাদ্রাসাকে সরকারি অনুমোদনের আশ্বাস দিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অনুমোদন না মেলায় রাজ্যের সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন অনুমোদনহীন মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা।
শনিবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্তি হাইস্কুল মাঠে ‘শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ’-এর পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। সভা শেষে শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী মিছিল করে মন্ত্রী গিয়াসউদ্দিনের বাড়ির দিকে রওনা দেন। মন্ত্রীর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ব্যারিকেড করে তাঁদের পথ আটকায় উস্তি থানার পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারী শিক্ষকদের ধ্বস্তাধস্তি হয়। ব্যারিকেড ভেঙেই এগিয়ে যান তাঁরা। পরে মন্ত্রীর বাড়ির সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন তাঁরা। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর পুলিশ এসে তাঁদের হটিয়ে দেয়।
আন্দোলনকারীদের দাবি, জেলায় প্রায় ৪২টি অনুমোদনহীন মাদ্রাসা রয়েছে। অনেক জায়গাতেই দুস্থ, সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের একমাত্র ভরসা এই মাদ্রাসাগুলি। আর পাঁচটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতই মাদ্রাসাগুলির পরিকাঠামো রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অনুমোদন না মেলায় মিড ডে মিল, বই খাতা সহ অন্যান্য সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পড়ুয়ারা। ফলে প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে স্কুলছুট সংখ্যালঘু ছাত্রের সংখ্যাও বাড়ছে।
আরও পড়ুন: নৈহাটিতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুনের চেষ্টা দুধ ব্যবসায়ীকে
অধিকাংশ অনুমোদনহীন মাদ্রাসাগুলি একটি কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়। বেশিরভাগ জায়গাতেই স্বল্প বেতনে কাজ করতে হয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের। অন্যান্য মাদ্রাসার শিক্ষকদের মত কাজ করেও পর্যাপ্ত বেতন না মেলায় এই অগ্নিমূল্যের বাজারে সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়েছে। অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিনের দ্বারস্থ হলেও বিষয়টিতে কোন গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক মইদুল ইসলাম বলেন, ‘‘বহুবার মন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি আমরা। কিন্তু আমাদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়নি। দেখা করার জন্য সময় চাইলেও প্রতিনিয়ত তিনি ঘুরিয়ে যাচ্ছেন।’’
তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘‘আমাকে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয় নি। আমার সঙ্গে দেখা করার কথাও কেউ বলেনি। এই ভাবে ব্যারিকেড ভেঙে গন্ডগোল করা অন্যায়। পুলিশের কাজ পুলিশ করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy