ভাঙা জেটিতেই পারাপার। ছবি: নির্মল বসু।
ঘাটের ধার গুলি ভেঙে রয়েছে অনেক দিন ধরেই। এক মহিলা তড়িঘড়ি ওই জেটি দিয়ে পেরোতে গিয়েই পা পিছলে পড়ে গেলেন। কাদা মেখে একাকার।
এই ঘটনা নতুন নয়, সন্দেশখালি ১ ব্লকের দু’টি জেটিঘাটের অবস্থা এতটাই খারাপ যে প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রত্যেকদিনই যাতায়াতের সময়ে ওই জেটিঘাটে কেউ না কেউ পড়ে হাত পা ভাঙছেন। শুধু ওই দু’টি জেটিঘাট নয়, ওই ব্লকের প্রায় ৬টি জেটিঘাটের অবস্থাই খারাপ।
এ দিকে মুখ্যমন্ত্রী সুন্দরবনকে জেলা তৈরি করবেন বলে ঘোষণা করেছেন। সেখানে এই জেটিঘাটগুলিরই সংস্কার হয় না। সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানো হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত মেরামত করা হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের।
গাজিখালিতে মাটি ধসে জেটিটির মাথার দিক বসে গিয়েছে। আপাতত সেখানে বাঁশের রেলিং দেওয়া হয়েছে। বাঁশের পাটাতন পেতে যাত্রীদের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিডিও অচিন্ত্য মণ্ডল বলেন, ‘‘কংক্রিটের জেটি করা আমার দফতরের পক্ষে সম্ভব নয়। সে কারণে ন্যাজাট বাজার সংলগ্ন জেটিঘাটের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানো হয়েছে।’’
ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে ন্যাজাট বাজার এলাকাতে কংক্রিটের জেটিঘাটটিতে বিপজ্জনক ফাটল দেখা দিয়েছিল। সে সময়ে যাত্রীরা ওঠা নামা করতে পারছিলেন না। বিশেষ করে ওই ঘাট দিয়ে বাজারের ব্যবসায়ীরা মালপত্র নৌকোয় তোলেন। কিন্তু তাঁরাও ওই ফাটলের জন্য জেটি ব্যবহার করতে পারননি। ফলে নিজেরা চাঁদা তুলে বাঁশ দিয়ে একটি ঘাট তৈরি করেছিলেন। সেখান থেকেই চলত ওঠা নাম। এখন ওই বাঁশের জেটির অবস্থাও শোচনীয়।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, সন্দেশখালির ন্যাজাটে বেতনি নদীর ঘাট থেকে জিনিসপত্র নিয়ে ব্যবসায়ীরা সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকায় নিয়ে যান। ফলে ন্যাজাটের ওই ঘাটটি এলাকার মানুষের কাছে যথেষ্ট প্রয়োজনীয়। অবিলম্বে ওই জেটিঘাটটির সারাই করতে হবে বলে দাবি এলাকাবাসীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy