Advertisement
২৮ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

‘প্রচেষ্টা’য় অসফল প্রায় ৫০ শতাংশই

লকডাউনের মাঝামাঝি ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পে ভরসার আলো দেখেছিলেন অসংগঠিত ক্ষেত্রের বহু মানুষ। ফর্ম পূরণের লাইনের ভিড় অন্তত সে কথাই বলেছিল।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২০ ০২:২০
Share: Save:

খেটে খাওয়া মানুষের যা আশঙ্কা ছিল, বাস্তবে সেটাই ঘটল। প্রশাসন যা অনুমান করেছিল, বাস্তব সংখ্যা তারও অনেক নীচে।

লকডাউনের মাঝামাঝি ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পে ভরসার আলো দেখেছিলেন অসংগঠিত ক্ষেত্রের বহু মানুষ। ফর্ম পূরণের লাইনের ভিড় অন্তত সে কথাই বলেছিল। কিন্তু পরিবর্তিত ‘প্রচেষ্টা’য় সেই সংখ্যা প্রায় তলানিতে। দুই ২৪ পরগনার অধিকাংশ মহকুমাতেই আবেদনকারীর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়ায়নি। আবেদনকারীরা সকলেই প্রকল্পের হাজার টাকা করে অ্যাকাউন্টে পাবেন এমনও নয়। কারণ, ওই আবেদনপত্র খতিয়ে দেখে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্রশাসন। বহু আবেদন বাতিল হতে পারে বলে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের একাংশ মনে করছেন।

সন্দেশখালি ১ ব্লকে ৮৫০টি আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ৫৯৩টি আবেদনের ঠাঁই হয়েছে ডাস্টবিনে। বনগাঁ মহকুমায় প্রচেষ্টা প্রকল্পে আবেদন করেছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। বনগাঁর মহকুমাশাসক কাকলি মুখোপাধ্যায় জানান, ওই আবেদনগুলি খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি আবেদন করেছেন। আবার এমন অনেকে আবেদন করেছেন, যাঁরা প্রকল্পের শর্ত পূরণ করতে পারছেন না। ব্যারাকপুর মহকুমার ১৬টি পুরসভা এবং দু’টি ব্লক মিলিয়েও আবেদনকারীর সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়ায়নি। তার মধ্যে অন্তত ৩০ শতাংশ আবেদন বাতিল হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

বসিরহাট মহকুমার ১০টি ব্লকেও আবেদনকারীর সংখ্যাটা ১০ হাজারের কাছাকাছি। আবেদনপত্র বাতিলের হার সব থেকে বেশি এই মহকুমাতেই। প্রায় ৬০ শতাংশ আবেদনকারী প্রকল্পের শর্তপূরণ করতে পারছেন না বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের ৬২৮ জন মানুষ আবেদন করেছেন। তার মধ্যে ২৪৫টি আবেদন বাতিল করা হয়েছে। মিনাখাঁ ব্লকে ১৪৫৪টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। এখানে বাতিল হয়েছে ৩০১ জনের আবেদন।

সন্দেশখালি ২ ব্লকে প্রায় ১০০০ জন আবেদন করেছেন। তার মধ্যে ৫০০ জনের আবেদন বাতিল হয়েছে।গোসাবা ব্লকে আবেদন করেছেন মাত্র ৯৯৬ জন। দ্বীপাঞ্চল গোসাবায় ইন্টারনেট যোগাযোগ ভাল না থাকার কারণেই সেখানকার বেশি মানুষ আবেদন করতে পারেননি বলে অভিযোগ। ক্যানিং মহকুমায় বেশ কিছু আবেদন বাতিল হতে পারে বলে মনে করছেন প্রশাসনের কর্তারা।

রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের বক্তব্য, অসংগঠিত ক্ষেত্রের যে সব শ্রমিক রাজ্যের কোনও আর্থিক প্রকল্পের সুবিধা পান না, তাঁরাই কেবলমাত্র এই প্রকল্পে টাকা পাবেন। ফলে এ ক্ষেত্রে একটা বিষয় পরিষ্কার, রাজ্যের অল্পসংখ্যক শ্রমিকই সরকারি সুবিধা প্রাপকদের তালিকার বাইরে রয়েছেন। পরবর্তীকালে তাঁদের রাজ্যের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে সামিল করার ভাবনা রয়েছে প্রশাসনের।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy