—প্রতীকী চিত্র।
চোদ্দো বছর আগে প্রকাশ্যে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল পাথরপ্রতিমার সিপিএম নেতা রফিক মোল্লাকে। অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার এতদিন পরে, রবিবার ঢোলাহাট থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা মহিমউদ্দিন মোল্লা। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিনি পাথরপ্রতিমা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন,
‘‘ওই খুনের মামলায় আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। মহিমউদ্দিন থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন।”
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ২০০৮ সালের আগে পর্যন্ত দক্ষিণ গঙ্গাধরপুর পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। উপপ্রধান ছিলেন রফিক মোল্লা। সেই বছর পঞ্চায়েত ভোটে নিজের কেন্দ্রে রফিক জিতলেও পঞ্চায়েতে সিপিএম হেরে যায়। ১৯টির মধ্যে ১৬টি আসন জিতে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। এরপরেই রফিকের উপর আক্রোশ বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ। ২০০৯ সালে খুন হয়ে যান তিনি। সেই ঘটনায় দক্ষিণ গঙ্গাধরপুরের তৃণমূলের তৎকালীন অঞ্চল সভাপতি মহিমউদ্দিন-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের খাতায় ফেরার ছিলেন মহিম। ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পরে অবশ্য তিনি এলাকায় ফিরে আসেন। ধীরে ধীরে এলাকায় প্রভাবও বাড়ে তাঁর। বিধায়ক সমীর জানার ঘনিষ্ঠও হয়ে ওঠেন। তবে, সেই খুনের ঘটনায় সম্প্রতি মহিমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। রবিবারই মহিমউদ্দিনকে কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক সত্যরঞ্জন দাস বলেন, “রফিক মোল্লাকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। যার নায়ক ছিল মহিম মোল্লা। পুলিশ এতদিন তাকে ছেড়ে রেখেছিল। এ বার গ্রেফতার হয়েছে। আমরা চাই আদালতের হস্তক্ষেপে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।” এলাকার বিধায়ক সমীরকুমার জানার দাবি, ‘‘সেই সময়ে (২০০৯) সিপিএমের অন্তর্কলহে খুন হন রফিক মোল্লা। ফাঁসানো হয়েছিল তৃণমূল নেতাদের। মহিম নিজেই আত্মসমর্পণ করেছে। ও ওই ঘটনায় যুক্ত ছিল না। দলীয় ভাবে আমরা ওঁর পাশে আছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy