মধ্যমগ্রামে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ স্থানীয়দের। — নিজস্ব চিত্র।
সাত বছরের এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম। ‘বিচার চাই’, দাবি তুলে পথে নামলেন গ্রামবাসীরা। ভাঙচুর চলল দোকানপাটে। বিক্ষোভ হটাতে পুলিশ শেষ পর্যন্ত লাঠিচার্জ শুরু করে। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবারও উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যমগ্রামের রোহান্ডা পঞ্চায়েতের রাজবাড়ি এলাকায়। শনিবার রাতে ঘটনাটি জানাজানি হতেই স্থানীয়েরা অভিযুক্তের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। তাঁর বাড়ি, দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। তবে পুলিশের সামনেই উত্তেজিত জনতা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে।
‘বিচার চাই’, দাবি তুলে পথ অবরোধ করেন স্থানীয়েরা। পুলিশের সামনেই ভাঙচুর চালাতে থাকেন তাঁরা। অভিযোগ, এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী অভিযুক্তকে আড়াল করার চেষ্টা করছেন। সেই অভিযোগে পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতেও চড়াও হন বিক্ষোভকারীরা। তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আরও পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ শুরু করে তারা। তবে পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাওয়ায় কাঁদানে গ্যাসও ছোড়া হয়। বেশ কিছু ক্ষণ পর উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও এলাকা থমথমে। বিচারের দাবিতে সরব স্থানীয়েরা। রবিবার সকালেও এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশ। শনিবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার জানান, অভিযুক্ত ওই নাবালিকাকে স্থানীয় এক চায়ের দোকানে নিয়ে যান। সেখানেই তাকে নির্যাতন করেন। স্থানীয়েরা অভিযুক্তের গ্রেফতারির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। ঘটনাস্থনে যান বারাসতের এসডিপিও। বর্তমানে এলাকা শান্তিপূর্ণ। অভিযুক্ত আব্দুল রউফকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy