কবর খোঁড়ার গর্ত। মঙ্গলবার, বিধাননগর কমিশনারেটের নারায়ণপুরে। —নিজস্ব চিত্র।
দাম্পত্য অশান্তির কারণেই মেয়েকে খুন করা হয়েছে। এমন অভিযোগ তুলে ছেলের বাড়ির নীচে কবরের জন্য গর্ত খুঁড়ে দিল মেয়ের পরিবার। যাতে ময়না তদন্তের পরে শ্বশুরবাড়ির নীচে মেয়ের কবর দেওয়া যায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে হুলস্থুল বেঁধে যায় বারাসতের শাসনের গোলাবাড়ি এলাকায়। যদিও পুলিশ ও গ্রাম পঞ্চায়েতের হস্তক্ষেপে পরে মেয়ের বাড়ির লোকজন সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। তবে জামাইয়ের বিরুদ্ধে বধূহত্যার অভিযোগ দায়ের করেছেন মেয়ের বাবা।
পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার রাতে বিধাননগর কমিশনারেটের নারায়ণপুর থানা এলাকার একটি জায়গা থেকে রোহানা পরভিন (১৯) নামে এক বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। স্বামী মহম্মদ আসিফুল্লার সঙ্গে রোহানা ওই এলাকায় ভাড়া থাকতেন। রোহানার বাবার বাড়ি শাসন থানা এলাকার গোলাবাড়ির দাদপুর অঞ্চলে। নারায়ণপুর থানার পুলিশ জানায়, আসিফুল্লাকে খোঁজা হচ্ছে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ দিন গোলাবাড়ি বাজারের কাছে আসিফুল্লার বাড়িতে চড়াও হয় পরভিনের পরিবার। বিক্ষোভ দেখিয়ে তাঁরা জানান, পরভিনকে ওই বাড়ির নীচেই কবরস্থ করা হবে। সেই মতো বেলচা, কোদাল দিয়ে আসিফুল্লার বাড়ির নীচে পরভিনের জন্য কবর খোঁড়া শুরু করে দেন। শাসন থানার পুলিশ জানায়, সেই সময়ে উত্তেজনার বশে মেয়ের পরিবার ওই ধরনের পরিকল্পনা করেছিলেন। পরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হয়। শেষ পর্যন্ত এ দিন সন্ধ্যায় নির্ধারিত কবরস্থানেই পরভিনকে কবরস্থ করা হয়।
পরভিনের বাবা জাকির হোসেন বলেন, ‘‘আমার অমতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে মেয়েটা বিয়ে করেছিল। তা সত্ত্বেও মেয়ের মুখ চেয়ে বিয়ে মেনে নিই। জামাইয়ের আইসক্রিমের কারখানা তৈরির জন্য বাড়ি বন্ধক দিয়ে তাকে টাকা দিই। অথচ সব সময়ে মেয়ের উপরে টাকার জন্য অত্যাচার করা হত। সোমবার আমার স্ত্রী মেয়ের সঙ্গে দেখা করে ফিরছিলেন। তখন জামাই ফোন করে স্ত্রীকে জানায়, মেয়ে গলায় দড়ি দিয়েছে।’’
পরভিনের পরিবার জানায়, সোমবার মায়ের সঙ্গে স্বাভাবিক আচরণ করেছিলেন তরুণী। যে কারণে মেয়েকে জামাই খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছেন বলেই তাঁরা সন্দেহ করছেন। পরভিনের বাবা জাকির বলেন, ‘‘আমার মেয়েকে খুন করা হয়েছে। সকালে আমরা মাথা ঠিক রাখতে পারিনি। যে কারণে ছেলের বাড়ির নীচে কবর খুঁড়ে মেয়েকে সেখানে মাটি দেওয়ার কথা ভেবেছিলাম। পরে সেই ভাবনা থেকে সরে আসি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy