মৃত তিন শ্রমিকের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের আসুদি ও শোলারহাট এলাকায়। ফইজুল থাকতেন নদিয়ার হরিণঘাটা থানার ফতেপুর পঞ্চায়েতের পাঁচকাহনিয়া গ্রামে।
বামদিক থেকে নজ্জেশ আলি মণ্ডল, ফইজুল মণ্ডল, নুর আমিন মণ্ডল ও কুদ্দুস আলি মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।
ভাল রোজগারের আশায় গত ৫ মার্চ কেরলে কাজে গিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার কিছু যুবক। শুক্রবার খবর আসে, প্রকল্প এলাকায় মাটি চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন চার জন। দু’জনের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। এক জন নিখোঁজ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম নজ্জেশ আলি মণ্ডল (২৯), নুর আমিন মণ্ডল (১৮), কুদ্দুস আলি মণ্ডল এবং ফইজুল মণ্ডল (৩৯)। জখম ফারুখ মণ্ডল এবং জিয়ারুল মণ্ডল চিকিৎসাধীন। মৃতদের দেহ দমদম বিমানবন্দরে আসার পরে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।
মৃত তিন শ্রমিকের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের আসুদি ও শোলারহাট এলাকায়। ফইজুল থাকতেন নদিয়ার হরিণঘাটা থানার ফতেপুর পঞ্চায়েতের পাঁচকাহনিয়া গ্রামে। নজ্জেশের স্ত্রী নিলুফা বলেন, ‘‘তিনটে ছোট ছোট সন্তান। উনিই ছিলেন একমাত্র রোজগেরে। কী ভাবে সংসার চালাব জানি না। সরকার যদি পাশে না দাঁড়ায়, ভেসে যেতে হবে।’’
কোচির এক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজ়েড) সকলে কাজে গিয়েছিলেন। নদিয়ার হরিণঘাটার বিডিও অনির্বাণ মজুমদার বলেন, ‘‘একটি মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণের কাজ চলাকালীন ফইজুলরা মাটি চাপা পড়েন।’’ অশোকনগরের শ্রীকৃষ্ণপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রফিকুর হাসান বলেন, ‘‘প্রথম বার কেরলে গিয়েছিলেন। আগে সেলাই কারখানায় কাজ করতেন। লকডাউনে কারখানা বন্ধ হওয়ায় টুকটাক কাজ করছিলেন। ভাল রোজগারের আশায় ভিন্ রাজ্যে যান। পরিবারগুলির পাশে আছি।’’
দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারগুলির অভিযোগ, নির্মাণ কাজ হচ্ছিল স্থানীয় প্রশাসনের বিনা অনুমতিতে। শ্রমিকদের জন্য যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা ছিল না। বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন কোচির স্থানীয় প্রশাসনের এক আধিকারিক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy