প্রতীকী ছবি
গাইঘাটা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একজন নার্স করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। এলাকায় সংক্রমণ বাড়ায় রবিবার থেকে সম্পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন।
গাইঘাটার বিএমওএইচ সুজন গায়েন বলেন, ‘‘বুধবার এক নার্সের লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট পেয়েছি। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেটি জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে।’’ স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নার্সকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। তাঁর সংস্পর্শে আসা মানুষজনকে নজরে রাখা হয়েছে।
বুধবার গাইঘাটার চাঁদপাড়া এলাকায় এক মহিলা এবং তাঁর ছেলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সুজন। একজন বাড়িতে এবং অন্যজনকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত গাইঘাটা ব্লকে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৬৩ জন। অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ২০ জন।
মঙ্গলবার বনগাঁ ব্লকের গঙ্গানন্দপুর এলাকার এক প্রৌঢ় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি আগের থেকেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বনগাঁর বিএমওএইচ মৃগাঙ্ক সাহা রায় বলেন, ‘‘ওই প্রৌঢ় এবং বনগাঁ বিডিও অফিসের এক কর্মীর রিপোর্ট এসেছে। দু’জনেই করোনা পজ়িটিভ।" স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ ব্লকে করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়াল ৫৮ জন।
বনগাঁ শহরেও করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়েছে। পুরসভা, ব্যবসায়ী সংগঠন, পুলিশ-প্রশাসন বুধবার বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শহরে সংক্রমণ ঠেকাতে রবিবার থেকে পরবর্তী রবিবার পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউন করা হবে। বনগাঁ পুরসভার পুরপ্রশাসক শঙ্কর আঢ্য বলেন, ‘‘সরকারি লকডাউনের পাশাপাশি বনগাঁ শহরে রবিবার থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বাজার, দোকান, যানবাহন সব বন্ধ থাকবে।’’ পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে বুধবার পর্যন্ত শহরে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা ১৬ জন।
বনগাঁ শহরে কয়েক দিন আগে থেকেই বাজার, দোকান খোলা এবং বন্ধ করার সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। রাত ৮টার মধ্যে সমস্ত দোকান বন্ধ করা হচ্ছে। যানবাহনে যাত্রী তোলা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। শহরের রাস্তায় বাজারে মাস্ক পরে বের হওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
পুরসভা ও পুলিশ প্রশাসন ওই নির্দেশ জারি করলেও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, অনেকেই মাস্ক ছাড়া বের হচ্ছেন। বাজারে বিক্রেতাদের মুখেও মাস্ক থাকছে না। এ বার তাই কড়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা ও প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy