অনন্যা ঘোষ ও দেবজিৎ দে।
মেধা তালিকায় অন্যদের সঙ্গে নাম রয়েছে তারও। রাজ্যের মধ্যে অষ্টম। প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৩। তার মতো মেধা তালিকার উপরের দিকে থাকা অন্যেরা তো প্রায় সকলেই ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-বিজ্ঞানী হতে চায়। কাঁচরাপাড়ার অনন্যা ঘোষ অবশ্য হতে চায় ক্রীড়া সাংবাদিক।
এমন ব্যতিক্রমী ইচ্ছা কেন?
অনন্যার বরাবরের পছন্দ অ্যাডভেঞ্চার। সে জানায়, আর সাংবাদিকতার প্রতি টান ছোটবেলা থেকেই।
মেধা তালিকার আর এক অষ্টম অশোকনগর গুমার দেবজিৎ দে চায় চিকিৎসক হতে। গ্রামে আধুনিক হাসপাতাল নেই। এলাকায় উন্নত চিকিৎসকেরও অভাব রয়েছে। এই অভিজ্ঞতা থেকেই তার মনে হয়েছে, ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে গরিব মানুষের কাছে চিকিৎসা-পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াটাই বেশি জরুরি। স্থানীয় বিড়া বল্লভপাড়া হাইস্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র দেবজিতের কথায়, ‘‘গ্রামের মানুষেরা উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা পান না। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হয়ে তাঁদের সেই অভাবটা ঘোচানোর ইচ্ছা রয়েছে।’’
অনন্যার বাড়ি কাঁচরাপাড়ার চারাপোলের দাড়়িয়াল গ্রামে। বাবা প্রদীপ ঘোষ ছাপোষা চাষি। এমন ফলের কৃ়তিত্ব অনন্যা দিচ্ছেন তাঁর মা শিপ্রা এবং বাবাকে। অনন্যা স্থানীয় ইন্ডিয়ান বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী। ওই স্কুল থেকেই সে মাধ্যমিক পাশ করেছিল। উচ্চ মাধ্যমিকে এমন তাক লাগানো ফল করলেও মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় ঠাঁই পায়নি। উচ্চমাধ্যমিকে এমন ভাল ফল কী ভাবে হল? কলা বিভাগের ছাত্রী অন্যন্যার জবাব, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিকে পছন্দের বিষয়গুলি পড়তে পেরেছি বলেই ফল ভাল হয়েছে। পাঠ্য বই আগের থেকে অনেক বেশি এবং খুঁটিয়ে পড়েছিলাম বলেই ফল এতটা ভাল হয়েছে।’’ তার পছন্দ, গল্পের বই পড়া। পছন্দের লেখক, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। টিভিতে খেলা দেখে অনেকটা সময় কাটে তার। ছোটবেলা থেকেই খেলার প্রতি এমন টানই ক্রীড়া সাংবাদিক হওয়ার ইচ্ছাকে উস্কে দিয়েছে।
ক্রিকেট প্রিয় খেলা দেবজিতেরও। নিজেও খেলে। সুযোগ পেলে বিরাট কোহলির সঙ্গে দেখা করা তার বড় স্বপ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy