এসওজি এবং বাসন্তী থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে ওই বাড়ি থেকে ৭টি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বড় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। —নিজস্ব চিত্র।
শাড়ির জরির কাজের ব্যবসা করতেন মহিলারা। বাড়ির মধ্যেই এ কাজ হত। তারই আড়ালে তৈরি হয়েছিল আস্ত অস্ত্র কারখানা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ওই অস্ত্র কারখানার হদিস পেল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানা এলাকার ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন ধরে ওই বেআইনি অস্ত্র কারখানার খবর পাচ্ছিল তারা। তাই খরিদ্দার সেজে ওই বাড়িতে যায় পুলিশের একটি দল। সেখান থেকে উদ্ধার হয় একের পর এক আগ্নেয়াস্ত্র। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন খড়ের ছাউনির ঘরের মধ্যে এই অস্ত্র কারখানাটি গড়ে উঠেছিল। মহিলারা ওই বাড়িতে শাড়িতে জরির কাজ করতেন। তার আড়ালেই চলত এই অস্ত্র কারবার।
এসওজি এবং বাসন্তী থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে ওই বাড়ি থেকে ৭টি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি বড় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। পাওয়া যায় আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। এই ঘটনায় মোতালেফ ওরফে হাসান পুরকাইত এবং জয়নাল মোল্লা নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে মোতালেফ ২০১৯ সালে এক বার গ্রেফতার হয়েছিলেন।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার মিস পুষ্পা বলেন, ‘‘আমরা বেশ কিছু দিন ধরে খবর পাচ্ছিলাম যে বাসন্তী থানার রামচন্দ্রপুর এলাকায় অস্ত্রের কারবার হচ্ছে। ওখানে হাসান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ২০১৯ সালে আগ্নেয়াস্ত্র কারখানা তৈরি করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন উনি। উনি আবার নতুন করে অস্ত্র কারখানা তৈরি করছেন— এই তথ্য পেয়ে শুক্রবার রাতে পুলিশের একটি দল হানা দেয়। ওই সময় হাসানের বাড়ি থেকে ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার হয়।’’
অস্ত্র তৈরির উদ্দেশ্য কী, কোথাও সেগুলো বিক্রি হত কি না, এ সব জানতে ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ সুপার। পাশাপাশি, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য ওই অস্ত্র কারবার চলছিল কি না, সেটাও জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy