টাকিতে গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সবুজ মণ্ডলকে শনিবার বসিরহাট এসিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে তাকে ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে রাখার আর্জি জানিয়েছিল পুলিশ। তবে বিচারক দু’দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। সোমবার সবুজকে পকসো মামলা বিশেষ আদালতে তোলার কথা।
তবে ঘটনায় বাকি তিন অভিযুক্তকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। জানা গিয়েছে, পলাতক তিনজনের একজনের বয়স বছর তেরো। বছর কুড়ি-বাইশের বাকি দুই তরুণ দুই ভাই। সবুজের বয়স বছর একুশ। দর্জির কাজ করে সে। পরিচিত বছর চোদ্দোর মেয়েটিকে সে অনেক দিন ধরেই উত্যক্ত করত বলে অভিযোগ মেয়ের পরিবারের।
মেয়েটি আপাতত বসিরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সুপার শ্যামল হালদার।
মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সে যখন বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিল, তখন তাকে মৃত এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে মোটর বাইকে তুলে নেয় সবুজ। টাকি শ্মশানের ধারে নিয়ে যায়।
সেখানেই আগে থেকে হাজির ছিল সবুজের তিন সঙ্গী। সকলে মদ্যপ ছিল। মেয়েটিকেও জোর করে মদ খাওয়ানো হয়। তার মোবাইলটি কেড়ে নিয়ে বন্ধ করে দেয় একজন। বাড়ি ফেরার জন্য জোরাজুরি করলে মেয়েটিকে চড়-থাপ্পড় মারা হয় বলেও জানিয়েছে সে। জ্ঞান হারায় মেয়েটি। এরপরে তার উপরে যৌন অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। পরে টাকি জমিদার বাড়ি ঘাটের কাছে আনলে অল্প অল্প জ্ঞান ফেরে। হাত ধরে জোরাজুরির সময়ে ফের জ্ঞান হারায় মেয়েটি।
টাকি রাজবাড়ি ঘাট এলাকার এক টোটো চালক বলেন, ‘‘ওই রাতে মেয়েটি টলমল পায়ে মোটর বাইকে উঠতে না পারায় কয়েকটি ছেলে তাকে জোরাজুরি করছিল। সে সময়ে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এক টোটো চালক তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।’’
মেয়েটির বাবার দাবি, অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য তাঁকে নানা ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সে কথা পুলিশকে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy