মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় সালিশি সভায় দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি বাধল। বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। উত্তর চব্বিশ পরগনার দেগঙ্গা থানার ঝিকড়া গ্রামের এই ঘটনায় গ্রামের মুদি ব্যবসায়ী সেলিম মোল্লাকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তরুণীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ধৃতকে রবিবার বারাসত আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে চার দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দেগঙ্গার হাদিপুর-ঝিকড়া ১ পঞ্চায়েতের ঝিকড়া গ্রামে মানসিক ভারসাম্যহীন বছর তেইশের তরুনীর বাড়ি। তাঁর মা কলকাতায় পরিচারিকার কাজ করেন। মায়ের অনুপস্থিতিতে ঠাকুমার কাছে থাকতেন ওই তরুণী। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ বাড়ির কাছে পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, সেলিম তাঁকে খাবারের লোভ দেখিয়ে নির্জন একটি মাঠের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে আখ খেতের মধ্যে নিয়ে গিয়ে তরুণীকে ধর্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকারে তাঁর কাকা ও অন্য প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, হাতেনাতে ধরা পড়ে যাওয়ায় বছর পঞ্চাশের বিবাহিত সেলিম মোল্লাকে মারধর করে এলাকার লোকজন। এই ঘটনা নিয়ে সন্ধ্যায় গ্রামের মাতব্বরেরা সালিশি সভা ডাকেন। সভা চলাকালীন অভিযুক্তের ছেলেদের সঙ্গে তরুণীর আত্মীয়দের বচসা থেকে হাতাহাতি বেধে যায়। বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সালিশি সভা ভেস্তে যায়।
উভয় পক্ষই রাতে থানায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়। ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই সেলিমকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। সেলিমের পরিবারের দাবি, পরিকল্পনা করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। সালিশির নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। বাড়িতেও চড়াও হয়ে ভাঙচুরও চালায় কিছু লোক। তরুণীর আত্মীয়দের পাল্টা দাবি, সালিশি সভায় ধর্ষণের ঘটনা চাপা দিতে সেলিমের ছেলেরা বহিরাগত লোকজন জড়ো করে হুমকি দেয়। মারধর করে। থানা-পুলিশ করলে ফল খারাপ হবে বলে ভয় দেখানো হয়। তা শুনে গ্রামের মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বহিরাগতদের বাধা দিলে সামানো হাতাহাতি হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ধর্ষণের অভিযোগে ধৃত। বাড়িতে ডেকে প্রতিবেশী আট বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটা থানার শিমুলপুর রেলকলোনি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, বছর চল্লিশের ধৃত ব্যক্তির নাম বাবু পোদ্দার। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন বিকেলে নাবালিকার বাড়ি থেকে তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় বাবু। বাবুর বাড়ি তখন ফাঁকাই ছিল। অভিযোগ, সেই সুযোগে ঘরে ঢুকিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়। মেয়ে বাড়িতে ফিরলে মা দেখেন, সে ঠিক মতো হাঁটতে পারছে না। রক্তক্ষরণও হচ্ছে। কী হয়েছে জানতে চাইলে মায়ের কাছে সব খুলে বলে মেয়েটি। প্রতিবেশীরা বাবুকে আটকে রেখে মারধর করেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। বাবুর নামে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। রবিবার ধৃতকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেলহাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy