প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের দুই মন্ত্রী তাপস রায় এবং চন্দ্রনাথ সিংহের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনলেন একটি চ্যানেলের প্রাক্তন মালিক ও সাংবাদিক উমেশ কুমার। তৃণমূল অবশ্য ওই অভিযোগ অসত্য বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, দলকে অপদস্থ করতে জালিয়াতির সাহায্য নেওয়া হয়েছে।
দিল্লিতে শনিবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে ভিডিয়ো ক্লিপ দেখিয়ে উমেশ দাবি করেন, তা স্টিং অপারেশন থেকে পাওয়া ওই দুই মন্ত্রীর ভিডিয়ো ফুটেজ। উমেশের দাবি, ওই ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী তাপসবাবু রাজীব রায় নামে তাঁর পরিচিত কোনও ব্যক্তির কাছে এক লক্ষ টাকা দিয়ে দেওয়ার কথা বলছেন। আর রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথবাবু একটি মোবাইল ফোন এবং এক লক্ষ টাকা নিচ্ছেন। ওই ভিডিয়ো ক্লিপ সিবিআইকে দেবেন বলেও জানিয়েছেন উমেশ। আনন্দবাজার অবশ্য ওই ভিডিয়ো ফুটেজের সত্যতা যাচাই করেনি। তাপসবাবু বলেছেন, ‘‘এ নিয়ে কিছুই বলব না।’’ আর চন্দ্রনাথবাবুও বলেছেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমার কোনও বক্তব্য নেই।’’ তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের কথায়, ‘‘অত্যন্ত ফালতু ব্যাপার। যারা সামনে থেকে রাজনৈতিক ভাবে লড়তে পারে না, তারাই এ সব করে। এই নিয়ে কথা বলে গুরুত্ব বাড়াতে চাই না।’’ তৃণমূল নেতৃত্বের আরও দাবি, যে চ্যানেল মারফত ওই ফুটেজ সামনে এসেছে, সেটি এক বিজেপি নেতার ঘনিষ্ঠ।
বিজেপি অবশ্য ওই ফুটেজকে অস্ত্র করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেছেন, ‘‘রাজ্যের মন্ত্রিসভার দুই সদস্যের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি চাই। তিনি ওই দু’জনকে মন্ত্রিসভা থেকে অব্যাহতি দিন।’’ ওই ভিডিয়ো ফুটেজের তদন্তেরও দাবি তুলেছেন তিনি। রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চা বিষয়টি নিয়ে বিক্ষোভও দেখিয়েছে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউতে।
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী জেলা থেকে ধান কিনবে দার্জিলিং: মন্ত্রী
তাৎপর্যপূর্ণ হল, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে নারদের স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো সামনে এসেছিল। তার পর বিধানসভা ভোটে তৃণমূল ফিরে এসেছিল ২০১১ সালের চেয়েও অনেক বেশি আসন নিয়ে। আবার পুরভোট এবং আগামী বিধানসভা ভোটের আগে আর একটি স্টিং-এর ভিডিয়ো সামনে এল। ভোটের মুখে বার বার এই ধরনের ঘটনা রাজনৈতিক মহলের অনেকের মতে বিস্ময়কর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy