বনকর্মীরা সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছেন। নিজস্ব চিত্র।
ফের লোকালয় থেকে উদ্ধার হল প্রায় ১৫ ফুট লম্বা কিং কোবরা। নাগরাকাটার ডাঙ্গাপাড়া থেকে উদ্ধার করা হয় কিং কোবরা সাপটি। এলাকার বাসিন্দা আইজুল হকের ঘরের সামনে সাপটিকে দেখতে পান গ্রামবাসীরা। প্রথমে তাঁরা নির্বিষ দাঁড়াশ সাপ ভেবে ভুল করে ফেলেন। কিন্তু যখন ফনা তুলে ফোঁস ফোঁস শব্দ করতে থাকে তখন তাঁরা বুঝতে পারেন যে, এটি আসলে কিং কোবরা। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি জানানো হয় সর্পপ্রেমী সৈয়দ নঈম বাবুনকে এবং খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মী দের।
খবর পাওয়া মাত্রই সর্পপ্রেমী এবং বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কিং কোবরা সাপটি উদ্ধার করেন। সাপটির শরীরে সামান্য আঘাত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বনকর্মীরা। তাই সাপটিকে গরুমারার লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর গরুমারা জাতীয় উদ্যানে রাতের দিকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বনদফতর সূত্রে খবর।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মাঝেমধ্যেই গভীর জঙ্গল থেকে কিং কোবরার মতো বিষধর সাপ লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এ নিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সর্প বিশারদ মিন্টু চৌধুরী। তিনি বলেন, “গভীর জঙ্গলে, পাহাড়ের গায়ে নিরিবিলি জায়গায় বাসা বানিয়ে সাধারণত কিং কোবরা থাকে। কিন্তু কয়েক মাস ধরে দেখা যাচ্ছে কখনও চা বাগান কখনও মানুষের ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ছে কিং কোবরা সাপ। যা খুব চিন্তার বিষয়। অনুমান করা হচ্ছে, খাবারের খোঁজে অথবা গভীর জঙ্গলে কিং কোবরার বাসস্থান কোনও ভাবে নষ্ট হযে যাচ্ছে। আর সেই কারণে তারা বাইরে বেরিয়ে আসছে এবং লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিষধর সাপ শঙ্খচূড়। এ রাজ্যের উত্তরবঙ্গ ও সুন্দরবনে এই সাপ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: আতসবাজি নিয়ে হাইকোর্টের রায়ে হস্তক্ষেপ করল না শীর্ষ আদালত
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy