স্বাস্থ্যরক্ষায় প্রতিদিন ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ক্রমশই মহার্ঘ হয়ে উঠছে ডিম। এই অবস্থায় রাজ্যে পর্যাপ্ত ডিম উৎপাদনের জন্য পোলট্রি শিল্পে ১২৩ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। বৃহস্পতিবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের সচিব বি পি গোপালিকা।
প্রস্তাবিত কয়েকটি প্রকল্পের নির্মাণকাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানান সচিব। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে বাণিজ্যিক ভাবে ডিম উৎপাদন করতে চেয়ে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকে আপাতত ৪৫টি প্রস্তাব এসেছে। তার মধ্যে ৩১টি প্রকল্প খতিয়ে দেখে দফতরের পক্ষ থেকে কাজ শুরুর সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে।’’ গোপালিকা জানান, যে-সব প্রকল্পকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, সেখানে ১২ লক্ষ মুরগি থাকবে। আগামী পাঁচ বছরে দফতরের তরফে ভর্তুকি বাবদ ২০৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে।
ডিমের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় গোটা রাজ্য তোলপাড়। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়ায় যে, দাম বেঁধে দেওয়ার কথা ভাবতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার। এখনও খোলা বাজারে পোল্ট্রির ডিম বিকোচ্ছে গড়ে ছ’টাকা দরে। প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের দাবি, সেপ্টেম্বর থেকে ডিম উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য। বাণিজ্যিক ভাবে পোলট্রির ডিম উৎপাদনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক ভর্তুকি এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। আর সেই সূত্রেই বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা আধুনিক পোলট্রি খামার গড়তে চেয়ে রাজ্যের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
বঙ্গবাসীর চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন প্রায় আড়াই কোটি ডিম লাগে। তার মধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে আমদানি করা হয় কমবেশি এক কোটি। রাজ্যে ডিম উৎপাদন বাড়াতে গ্রামাঞ্চলে মুরগি ও হাঁসের বাচ্চা বিতরণ করছে সরকার। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। সরকারের দাবি, ডিম উৎপাদন বাড়ানোর জন্য বেসরকারি ও সরকারি খামার মিলিয়ে যে-সব প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, তাতে ২০১৯ সালের মাঝামাঝি থেকে রাজ্যে ডিমের ঘাটতি ৯০% কমিয়ে ফেলা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy