সীমান্ত পেরিয়ে ও-পার বাংলার জঙ্গিরা পশ্চিমবঙ্গ-সহ ভারতে কী ভাবে হিংসাত্মক কাজকর্ম চালায়, ঢাকায় হাতকাটা নাসিরুল্লা ওরফে সোহেল মাহফুজকে জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। তার মধ্যেই ভারতে নাশকতার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার দায়ে তিন বাংলাদেশি নাগরিককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিল কলকাতার একটি আদালত। দণ্ডিত তিন জনের প্রত্যেকের ৪৫ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।
আদালত সূত্রের খবর, দণ্ডিত তিন বাংলাদেশির নাম আবদুল্লা হিল বাকি, তৈমুর রহমান এবং আনোয়ার। এ-পারে নাশকতার চক্রান্তে যুক্ত থাকায় শুক্রবার তাদের দণ্ড দিয়েছেন কলকাতার নগর দায়রা আদালতের বিচারক কুমকুম সিংহ। সরকারি আইনজীবী তরুণ চট্টোপাধ্যায় জানান, আবদুল্লা, তৈমুর ও আনোয়ার তিন জনেই কুমিল্লার বাসিন্দা। ২০০৯ সালের মাঝামাঝি পাসপোর্ট ছাড়াই তারা মুর্শিদাবাদে ঢোকে। এ-পারে আসার পরে ওই জেলার পরিচিত কয়েক জনের সাহায্য নিয়ে তারা জাল ভোটার পরিচয়পত্র জোগাড় করে, হাসিল করে গাড়ি চালানোর লাইসেন্সও। কয়েক মাস পরে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক (এসটিএফ) ফোর্স গোপন সূত্রে খবর পায়, নাশকতা ঘটানোর জন্য ওই তিন বাংলাদেশি ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডে জড়ো হয়েছে। এসটিএফ কর্মী-অফিসারেরা তিন জনকেই গ্রেফতার করেন। তাদের কাছে পাওয়া যায় ‘মুজাহিদিন’ সংগঠনের বেশ কিছু প্রচারপত্র, বিস্ফোরণ ঘটানোর ডিটোনেটর এবং দু’লক্ষ জাল ভারতীয় টাকা।
এসটিএফ জানায়, ধৃতদের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে এ দেশে ঢোকা এবং নাশকতার ষড়যন্ত্রের ধারায় চার্জশিট পেশ করা হয়। চার্জশিটে বিস্ফোরক রাখা এবং জাল নোট ছড়ানোর ধারাও যোগ করা হয়েছিল। সরকারি কৌঁসুলি জানান, বিচারক জেল-কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন, ওই তিন জনের কারাবাসের মেয়াদ শেষ হলে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। যাতে তারা নিজেদের দেশে ফিরে যেতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy