রাইসিনা হিলে তৃণমূলের সাংবাদিক বৈঠক।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার অপসারণের দাবি জানাল তৃণমূল। সোমবার বেলার দিকে রাষ্ট্রপতির হাতে সেই চিঠি তুলে দিয়ে রাইসিনা হিলে সাংবাদিক বৈঠক করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় এবং কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। জোড়াফুল শিবিরের বক্তব্য, ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তের সঙ্গে সলিসিটর জেনারেলের ‘বৈঠক’ দেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি ‘বিদ্রুপ’ এবং ‘বিপজ্জনক’। বিষয়টিকে ‘স্বার্থের সঙ্ঘাত’ বলেও ব্যাখ্যা করলেন সুখেন্দুশেখর।
তুষার-শুভেন্দু ‘সাক্ষাৎ’ প্রকাশ্যে আসতেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। মুখপাত্র কুণাল ঘোষ থেকে শুরু করে রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়— প্রত্যেকেই টুইট করে তুষারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। নারদ মামলায় সিবিআইয়ের এফআইআর-এ নাম থাকা শুভেন্দুর সঙ্গে ওই মামলায় সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষারের ‘আধঘণ্টা’র বৈঠক বিচারব্যবস্থার উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা নয়? আগেই এই প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল। এ বার রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতেও সেই বক্তব্যই তুলে ধরা হল। শুধু নারদ মামলাই নয়, সারদা মামলার প্রসঙ্গও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। বলা হয়েছে, ওই মামলায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলে চিঠি লিখেছেন মূল অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেন। তার পরও সারদা মামলায় সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার কী ভাবে শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করলেন? তাদের দাবি, এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ না করলে বিচারব্যবস্থার উপর জনসাধারণের আস্থায় আঘাত হানবে এই ঘটনা।
‘সাক্ষাৎ’ নিয়ে তৃণমূল চাপ বাড়াতেই ঘটনার একটি ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন তুষার। বলেছিলেন, শুভেন্দু ‘না জানিয়ে’ এসেছিলেন। তাই তিনি তাঁর সঙ্গে দেখাই করেননি। এই বিষয়টি নিয়ে সুখেন্দুশেখর বলেন, ‘‘তা হলে আমরা ধরেই নিতে পারি, শুভেন্দু জানিয়ে এলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন সলিসিটর জেনারেল। উনি কি ন্যায়-নীতি একেবারেই ভুলে গিয়েছেন?’’
নিজের বক্তব্যের সমর্থনে বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা উচিত তুষারের, রাষ্ট্রপতিকেও তা জানিয়েছে তৃণমূল। শেষে বলা হয়েছে, ‘সাংবিধানিক গুরুত্বের বিষয়টি মাথায় রেখে সলিসিটর জেনারেলের পদ থেকে সরানো উচিত তুষার মেহতাকে।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy