গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজনৈতিক পথ আলাদা হলেও বন্ধুত্বে ছেদ পড়েনি। আমির খান এবং কিরণ রাওয়ের সম্পর্কের মতোই বিজেপি-শিবসেনার বন্ধুত্বও অটুট রয়েছে। প্রাক্তন শরিকের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নিয়ে এ বার আমির-কিরণের বিচ্ছেদ-পরবর্তী বন্দোবস্তের তুলনা টানলেন শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত। কার্যত আমির-কিরণের সুরেই জানালেন, তাদের মধ্যে মতানৈক্য থাকলেও বন্ধুত্ব সব সময়েই বজায় থাকবে। রবিবার মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের পর রাউতের এই মন্তব্য ফের ওই রাজ্যে পুরনো রাজনৈতিক জোটের ফিরে আসার জল্পনা উস্কে দিয়েছে।
সম্প্রতি ১৫ বছরের বিবাহিত জীবনে ইতি টেনেছেন আমির-কিরণ। বিচ্ছেদের পরে আইনত স্বামী-স্ত্রী না থাকলেও তাঁরা যে পরস্পরের বন্ধু থাকবেন এবং ছেলে আজাদের প্রতি দায়িত্ব একত্রে পালন করবেন, তা জানিয়েছেন। পুরনো শরিক শিবসেনা যে তাদের বন্ধু, আগেই দাবি করেছিলেন ফডণবীস। তার পর সোমবার রাউতের মন্তব্য, ‘‘আমরা ভারত-পাকিস্তান নই। আমির খান এবং কিরণ রাওকে দেখুন, (আমাদের সম্পর্ক) অনেকটা তাঁদের মতো। আমাদের (বিজেপি-শিবসেনা) রাজনৈতিক পথ আলাদা হতে পারে। কিন্তু বন্ধুত্ব বরাবরই অটুট থাকবে।’’
ঘটনাচক্রে, ফডণবীসের মতোই রাউতের এই ‘একসুরে’ বাঁধা মন্তব্য ঘিরে ভবিষ্যতে মহারাষ্ট্রে ফের বিজেপি-শিবসেনা সম্পর্কের রসায়ন দেখতে শুরু করেছেন অনেকে। গত মাসে দিল্লি সফরের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের সাক্ষাতের কথাও তাঁরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন। যদিও এ সবই জল্পনা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন রাউত। রবিবার বিজেপি নেতা আশিস শেলারের সঙ্গে তাঁর জনসমক্ষে কফি-পানও যে শুধুমাত্র রাজনৈতিক সৌজন্যের বার্তা বহন করছে, অন্য কিছু নয়— তেমনটাই দাবি করেছেন সেনা মুখপাত্র। তবে মহারাষ্ট্রের আগামী নির্বাচনগুলিতে কংগ্রেসের ‘একলা চলো’ নীতির পর ফডণবীস এবং রাউতের বন্ধুত্বের এই বার্তায় পুরনো শরিকদের ফের একসঙ্গে পথ চলার জল্পনা তীব্র হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy