ক্ষত সারলেও, দৃষ্টি শক্তি এখনও ঝাপসাই রয়েছে। চিকিত্সকরা পরামর্শ দিয়েছেন কলকাতায় গিয়ে চোখের চিকিত্সা করাতে। আদৌ কোনওদিন দৃষ্টিশক্তি ফিরবে কি না, তা নিয়েও সংশয় জানিয়েছেন কেউ কেউ। তবে আপাতত চোখের চিকিত্সার কথা ভাবছেন না বছর ষাটের ওই বাসিন্দা। পুরোপুরি সুস্থ হলেই মেয়ের উপর নির্যাতনের ঘটনার সুবিচার চেয়ে পুলিশ-প্রশাসন থেকে বিভিন্ন সংগঠন, ব্যক্তির দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা করেছেন মালদহের ইংরেজবাজার থানা এলাকার বাসিন্দা বিধবা মহিলার বাবা। গত সোমবার রাত থেকে ওই মহিলার বাবা মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। এ দিন দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল, বাবার পায়ের নীচে জড়োসর হয়ে বসে ঘুমোচ্ছেন নির্যাতিতা মহিলা। এ দিন তিনি ডাক্তারি পরীক্ষা করাতেও রাজি হননি। নির্যাতিতার দাবি, ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছিল, তা-ও ৪ মাস আগে, সে কারণেই তিনি ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে রাজি হননি বলে মহিলা দাবি করেছেন।
গত ১০ নভেম্বর রাতে ওই মহিলার বাবাকে লোহার রড দিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে রিন্টু শেখের বিরুদ্ধে। তার আগে গত জুলাইয়ে মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল রিন্টুর বিরুদ্ধে। যদিও, যে রড দিয়ে নির্যাতিতার বাবাকে মারা হয়েছিল, পুলিশ এখনও তার হদিশ পায়নি বলে দাবি করেছে। জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। অস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করা হবে।” মালদহের ঘটনার রেশ হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ানোয় পুলিশের উপর চাপ বাড়তে শুরু করে। প্রবল চাপের মুখে, পুখুরিয়া থানার ওসির বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু করে পুলিশ।
এ দিন নির্যাতিতার বাবা বলেন, “ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে মেয়ের প্রতি অন্যায়ের সুবিচারের দাবিতে সর্বত্র দরবার করব। প্রয়োজনে শহরের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি ঘুরে সকলকে পাশে দাঁড়াতে বলব।” এ দিনই জেলায় এসে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানান, নির্যাতিতাকে সহায়তা করার জন্য দলের কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর পাশে দল রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy