মৃত্যুর ওপারে কী রয়েছে? স্বর্গ, নরক না অন্য কিছু? দীর্ঘ দিন সেই প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অনেকেই দাবি করেন, তাঁরা বেঁচে থাকতেই মৃত্যুর অভিজ্ঞতা করেছেন। কেউ কেউ আবার আরও এক ধাপ এগিয়ে স্বর্গ বা নরক থেকে ঘুরে আসার দাবিও করেছেন। তবে এ সব দাবির ঊর্ধ্বে গিয়ে অন্য এক দাবি করেছেন শ্যারন মিলিম্যান নামে এক মহিলা। তাঁর দাবি, এক বার, দু’বারও নয়, চার বার মৃত্যুকে ফাঁকি দিয়েছেন তিনি। মৃত্যুর পর কী হয়, সেই ‘অভিজ্ঞতা’ও ভাগ করে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
৬২ বছর বয়সি শ্যারন জানিয়েছেন, ১৩ বছর বয়সে মায়ের সঙ্গে সমুদ্রে সাঁতার কাটতে গিয়ে ডুবে যাচ্ছিলেন তিনি। তখনই নাকি তিনি প্রথম মৃত্যুর মুখোমুখি হন। শ্যারনের দাবি, জলে ডোবার সময় তাঁর মনে হয়েছিল, তাঁর আত্মা শরীর ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। যদিও কিছু ক্ষণ পরেই নাকি আবার আত্মা দেহে ফিরে আসে। কারণ, উপকূলরক্ষীরা তাঁকে বাঁচিয়ে দেন। যদিও ওই সময়ে তিনি এক বারের জন্যও ভয় পাননি বা ব্যথা অনুভব করেননি বলেও দাবি শ্যারনের।
শ্যারনের দাবি, পরবর্তী ঘটনাটি ঘটে যখন তাঁর ৪৩ বছর বয়স। বজ্রপাতের কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সেই সময় তাঁর দেহ হাসপাতালে থাকলেও আত্মা স্বর্গ থেকে ঘুরে এসেছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। শ্যারন আরও দাবি করেছেন, এর পর একটি অস্ত্রোপচারের সময় তৃতীয় বার এবং ভুল ওষুধের কারণে চতুর্থ বার তিনি মৃত্যু পরবর্তী অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। যদিও ওই দু’বারই নাকি কিছু ক্ষণ পরে তাঁর ধড়়ে প্রাণ ফিরেছিল।
আরও পড়ুন:
মৃত্যু পরবর্তী বিভিন্ন ‘অভিজ্ঞতা’ও বর্ণনা করেছেন শ্যারন। তাঁর দাবি, প্রতি বার তিনি উজ্জ্বল আলো দেখতে পেয়েছিলেন। সেই আলোর উপর ভর করেই নাকি তিনি স্বর্গে পৌঁছেছিলেন প্রতি বার। স্বর্গে গিয়ে গোলাপি এবং সোনালি মেঘ দেখার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। স্বর্গের একাধিক অনুষ্ঠানে তিনি যিশুকে দেখেছিলেন বলেও শ্যারনের দাবি।
শ্যারন যা দাবি করেছেন তা সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসার পরে নেটাগরিকদের অনেকেই তাঁকে ‘পাগল’ আখ্যা দিয়েছেন। অনেকে আবার বিষয়টি নিয়ে মজার মজার মন্তব্যও করেছেন।