রেললাইনের উপর রাখা হচ্ছে আস্ত সাইকেল, গ্যাস সিলিন্ডার। ছবি: সংগৃহীত।
রেললাইনের উপর রাখা হচ্ছে পাথরের টুকরো, সাবান থেকে শুরু করে আস্ত সাইকেল, গ্যাস সিলিন্ডার। এমনকি জ্যান্ত মুরগিও। সেই সব ঘটনার ভিডিয়ো করে আপলোড করা হচ্ছে ইউটিউবে। আয় হচ্ছে দেদার। ভারতীয় ইউটিউবারের এহেন কীর্তির ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই হইচই দেশ জুড়ে।
সম্প্রতি একের পর এক রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে দেশের নানা প্রান্তে। মৃত্যুও হচ্ছে অনেকের। মঙ্গলবারও হাওড়া থেকে মুম্বইগামী হাওড়া-সিএসএমটি এক্সপ্রেস ঝাড়খণ্ডে লাইনচ্যুত হয়েছে। সেই ঘটনায় দু’জনের মৃত্যুও হয়েছে। এর মধ্যেই ওই ইউটিউবারের ভিডিয়োগুলি ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে সমাজমাধ্যমে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। ইউটিউবারকে গ্রেফতারের দাবিতে সরব হয়েছেন অনেকে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওই ইউটিউবারের নাম গুলজ়ার শেখ। ‘গুলজ়ার ইন্ডিয়ান হ্যাকার’ নামে ইউটিউবে একটি চ্যানেল রয়েছে তাঁর। সম্প্রতি ‘ট্রেনওয়ালেভাইয়া’ নামে একটি এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডল থেকে গুলজ়ারের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। সেই ভিডিয়োয় তাঁকে রেললাইনের উপর সাইকেল, সাবান, পাথর, জ্যান্ত মুরগি, গ্যাস সিলিন্ডার-সহ অনেক জিনিস রাখতে দেখা গিয়েছে। দেখা গিয়েছে, ওই সব জিনিসের উপর ট্রেন চলে যাওয়ার মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে রাখেন গুলজ়ার। সেই পোস্টে লেখা ছিল, ‘‘এই তরুণ উত্তরপ্রদেশের লালগোপালগঞ্জের এক জন ইউটিউবার। ইনি টাকার জন্য ট্রেনের সামনে বিভিন্ন জিনিস রেখে হাজার হাজার যাত্রীর জীবনকে বিপদের মুখে ঠেলে দেন।’’
এর পর আরও কয়েক জন সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারী বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে শুরু করলে গুলজ়ারের কীর্তিকলাপ সবার নজরে আসে। নিন্দায় সরব হয়েছেন বহু মানুষ। রেল কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। গুলজ়ারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার দাবি উঠেছে।
গুলজ়ারের ইউটিউব চ্যানেল ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, আয় করতে রেললাইনের উপর বিভিন্ন জিনিস ফেলে রাখেন তিনি। ট্রেন যখন ওই জিনিসগুলির উপর যায়, সেই মুহূর্তগুলির ভিডিয়ো করে আপলোড করেন নিজের ইউটিউব চ্যানেলে।
এখনও পর্যন্ত এই চ্যানেলে মোট ২৪৩টি ভিডিয়ো আপলোড করা হয়েছে। তাঁর আপলোড করা একটি ছোট ভিডিয়োর ভিউ প্রায় ১০ কোটি। গুলজ়ারের চ্যানেলটির সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৩৫ হাজার। তাঁর চ্যানেলের সবচেয়ে পুরানো ভিডিয়োটি ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে আপলোড করা হয়েছিল। ওই ভিডিয়োয় তাঁকে রেললাইনে ইয়ারবাড রাখতে দেখা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy