জম্মু ও কাশ্মীরের সোনমার্গে বিশাল তুষারধস। বুধবার সোনমার্গের সরবল এলাকায় তুষারধসের ঘটনাটি ঘটেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত তুষারের নীচে চাপা পড়ে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সেই তুষারধসের একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। সেই ভিডিয়োকে কেন্দ্র করে হইচইও পড়েছে।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার কাশ্মীর উপত্যকার শেষ গ্রাম সরবলে তুষারধসের ঘটনাটি ঘটে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। তবে ভয়ঙ্কর তুষারধসের কবলে পড়ে কারও মৃত্যু হয়নি। আহত হওয়ার খবরও নেই। তুষারধসের সেই ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের এক্স হ্যান্ডল থেকে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, পাহাড়ের উপর থেকে নীচের দিকে নেমে আসছে শ্বেতশুভ্র তুষার। দেখে মনে হচ্ছে যেন পাহাড়ের কোল বেয়ে মেঘ নেমে আসছে। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে তুষারের ধুলোয় সারা এলাকা ঢাকা পড়ে। এক ব্যক্তি দূর থেকে পুরো ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করেন। তাঁর গাড়িও বরফে ঢেকে যায়। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে উত্তরাখণ্ডের চামোলী জেলায় বদরীনাথ থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে মানা গ্রামেও তুষারধস নেমেছিল। সেই সময় ওই এলাকায় কাজ করছিলেন বিআরও-র বেশ কয়েক জন শ্রমিক। গ্রামে তাঁদের একটি ক্যাম্পও ছিল। ওই ক্যাম্পের কাছেই তুষারধস নামে। আটটি কন্টেনার এবং একটি ছাউনির নীচে মোট ৫৪ জন শ্রমিক আটকে পড়েন। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। রাজ্য এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী তো বটেই, ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি), ভারতীয় সেনাও হাত লাগায় উদ্ধারকাজে। শুধু হেলিকপ্টারই নয়, ভিকটিম লোকেটিং ক্যামেরা (ভিএলসি), থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা, এমনকি উদ্ধারকারী কুকুরের দলকেও উদ্ধারকাজে লাগানো হয়। ৪৬ জন শ্রমিককে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা সম্ভব হলেও শেষমেশ মৃত্যু হয় আট জন শ্রমিকের। এর পর আবার জম্মু এবং কাশ্মীরে তুষারধসের ঘটনা ঘটল।