অভিনব কায়দায় চুল কাটার সময় অনেক সময়ই গ্রাহকের চুলে আগুন ধরাতে দেখা যায় নরসুন্দরদের। বছর দুয়েক আগে আগুন ধরিয়ে চুল কাটা এক প্রকার ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছিল। তবে এ বার শরীরের ক্লান্তি দূর করতে মাসাজ পার্লারে যাওয়া গ্রাহকদের সারা শরীরেই আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এল। সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, একটি মাসাজ পার্লারে শুয়ে রয়েছেন এক গ্রাহক। আপাদমস্তক তাঁকে তোয়ালে দিয়ে মুড়ে রেখেছেন তিন মাসাজ কর্মী। এর পর ওই অবস্থাতেই তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন ওই কর্মীরা। কিছু ক্ষণ পর একটি লাল কাপড় ঢাকা দিয়ে ধীরে ধীরে সেই আগুন নিভিয়েও দেওয়া হয়। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
‘স্লোশুয়া’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে গত সপ্তাহে। ইতিমধ্যেই প্রায় তিন কোটি বার দেখা হয়েছে ভিডিয়োটি। লাইক-কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে সমাজমাধ্যমে। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘গ্রাহক টানতে মাসাজ পার্লারগুলি এখন যা খুশি করছে।’’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘এটা কি শ্মশানে পাঠানোর মাসাজ? এর উদ্দেশ্য কী, তা বুঝতে পারছি না।’’ উদ্বেগ প্রকাশ করে তৃতীয় এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘এ সব খুব সাবধানে করা উচিত। বড় বিপদও ঘটতে পারে।’’
আরও পড়ুন:
যদিও বিশেষজ্ঞদের অনেকেই জানিয়েছেন, তোয়ালের মধ্যে আগুন জ্বালিয়ে মাসাজ করার এই প্রক্রিয়া পরিচিত ‘হুও লিয়াও’ নামে। চিন এবং তিব্বতে এই ভাবে মাসাজ করার প্রথা রয়েছে। শরীরের উপর সুরাসিক্ত তোয়ালে রেখে তার উপর আগুন ধরানো হয়। এটি ‘ফায়ার ড্রাগন থেরাপি’ নামেও পরিচিত। বিশেষ ওই পদ্ধতি শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ, ব্যথা উপশম এবং অন্যান্য উপসর্গ উন্নত করার সাহায্য করে বলে অনেকে দাবি করে থাকেন।