চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রবিবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলতে নেমেছিল ভারত। সেই ম্যাচে ব্যাটে-বলে ঝড় তুলে পাকিস্তানকে নাস্তানাবুদ করে রোহিত শর্মার দল। সেঞ্চুরি আসে বিরাটের ব্যাটে। কিন্তু সেই ম্যাচ নাকি ভারত জিতেছে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের উপর ‘কালো জাদু’ করে! এমনই দাবি পাকিস্তানি একটি টিভি শোয়ে আগত অতিথিদের একাংশের। রবিবারের ম্যাচে পাকিস্তানের কিছু সমর্থকও যেখানে বিরাটের খেলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন, সেখানে এ রকম একটি দাবিকে কেন্দ্র করে হইচই পড়েছে সমাজমাধ্যমে। যদিও পাকিস্তানের টিভি শোয়ে অতিথির করা ওই মন্তব্য নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছেন না ভারতীয় সমর্থকেরা। বরং বিষয়টি নিয়ে মশকরা শুরু করেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:
ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের ওই টিভি শোয়ের সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়ো। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ‘রাজা বাবু’ নামে এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, পাকিস্তানের একটি টিভি শোয়ে রবিবারের ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে পর্যালোচনা চলছে। আলোচনা চলাকালীন ওই শোয়ে আগত এক অতিথি হঠাৎ দাবি করেন, দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ২২ জন পুরোহিতকে ‘কালো জাদু’ করতে পাঠিয়েছিল ভারত। সেই পুরোহিতেরাই পাক খেলোয়াড়দের বিভ্রান্ত করেন এবং পাকিস্তান ম্যাচটি হেরে যায়। অন্য এক অতিথির দাবি, আরও এক ধাপ উপরে। তাঁর দাবি, পুরোহিতদের নিয়ে আসতে পারবে না বলেই পাকিস্তানে খেলতে অস্বীকার করেছিল ভারত। বদলে দুবাইয়ের মাঠে খেলার আয়োজন করা হয়েছিল। তাঁদের অভিযোগ, ম্যাচের এক দিন আগেও সাত জন পুরোহিত আচার-অনুষ্ঠানের জন্য মাঠে গিয়েছিলেন। অতিথিদের সেই আলোচনার ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ভিডিয়োটি দেখেছেন। সমাজমাধ্যমে শোরগোল পড়ে গিয়েছে ভিডিয়োটিকে কেন্দ্র করে। ভারতীয় নেটাগরিকদের অধিকাংশই বিষয়টি নিয়ে মজার মজার মন্তব্য করেছেন। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘পাকিস্তানের লোক জন যে অশিক্ষিত, ছত্রে ছত্রে তার প্রমাণ পাওয়া যায়। ওরা মুখ খুললেই এ সব আজগুবি গল্প বলে।’’ অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘হেরে যাওয়ার দুঃখ মেনে নিতে না পেরে মনে হয় এরা পাগল হয়ে গিয়েছে।’’
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, ক্রিকেটে ভারতের কাছে পাকিস্তান হেরে যাওয়ার পর পাক সংবাদমাধ্যমের ‘কালো জাদু’র তত্ত্ব এই প্রথম নয়। গত বিশ্বকাপের সময়ও ভারতের হাতে পাক-বধের পর এক পাকিস্তানি সাংবাদিক ‘কালো জাদু’র তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন। পাকিস্তানি লেখক হারিম শাহও একই অভিযোগ করেছিলেন। তখনও বিষয়টি নিয়ে সমাজমাধ্যমে হাসির রোল উঠেছিল।