—প্রতীকী ছবি।
মহাকাশচারীদের পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের জন্য বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরে চেষ্টা করছিলেন। শেষ পর্যন্ত নতুন যন্ত্রের আবিষ্কার করে মাইলফলক গড়ে তুললেন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের বিজ্ঞানীরা। এখন শরীর থেকে নিঃসৃত তরল বর্জ্যই পানীয় হিসাবে গ্রহণ করতে পারবেন মহাকাশচারীরা। বিজ্ঞানীরা মহাকাশচারীদের স্পেসসুটে একটি অভিনব যন্ত্র লাগানোর চিন্তাভাবনা করছেন। ওই যন্ত্রে একটি সেন্সর লাগানো থাকবে।
মূত্র ত্যাগের সময় সেই সেন্সর সক্রিয় হয়ে যাবে। শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া তরল বর্জ্য সংগ্রহ করে একটি ভ্যাকুয়াম পাইপের মধ্যে পাঠানো হয়। সেই পাইপটি মহাকাশচারীর পিঠে থাকা একটি পরিস্রাবণ যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকে। কর্নেল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা তাঁদের গবেষণাপত্রে জানিয়েছেন, মূত্র সংগ্রহ করে পর পর দু’বার অভিস্রাবণ পদ্ধতিতে মূত্র পরিস্রুত করা হয়। বর্জ্য পদার্থ যথাসম্ভব নিঃসৃত করার পর কয়েক মিনিটের মধ্যেই ৮৭ শতাংশ বিশুদ্ধ পানীয় জল খেতে পারবেন মহাকাশচারীরা।
এই সাফল্যকে নতুন এক মাইলফলক হিসাবে দেখছে নাসা। মহাকাশে নাসার আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে যে মহাকাশচারীরা রয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁরা পানীয় জলের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছিলেন। এই নিয়ে চলছিল নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং গবেষণা। অবশেষে পানীয় জল তৈরিতে সাফল্য মিলেছে। মূত্র থেকে পান করার যোগ্য জল বার করতে পেরেছেন তাঁরা। মহাকাশচারীদের প্রত্যেকের দিনে এক গ্যালন শুদ্ধ জল প্রয়োজন হয়। পান করা ছাড়াও শারীরিক ক্রিয়া, খাবার তৈরি এবং অন্যান্য প্রয়োজনে এই জল কাজে লাগান তাঁরা। শারীরিক বর্জ্য থেকে পানীয় জল নিষ্কাশনের ফলে আগামী দিনে মহাকাশের একাধিক অভিযানে অনেক সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এখনও এই নবআবিষ্কৃত যন্ত্র নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষার শেষ পর্যায়ের কাজ চলছে। এই যন্ত্র মহাকাশচারীদের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর কি না তাও নিরীক্ষণ করছেন বিজ্ঞানীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy