টানা দু’মাস ধরে কর্তব্য পালনের পর অবশেষে মুক্তি। মহাকুম্ভের সমাপ্তিতে ছুটির আনন্দে মাতলেন প্রয়াগরাজের রেলপুলিশের কর্মীরা। কোমর দোলালেন ভোজপুরি গান ‘ললিপপ লাগেলু’-তে। সেই নাচের একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। ভিডিয়োটি দেখে অনেকে যেমন মজার মজার মন্তব্য করেছেন, তেমনই অনেকে আবার উর্দি পরে নাচার জন্য ওই আরপিএফ কর্মীদের সমালোচনা করেছেন। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মহাকুম্ভ চলাকালীন কঠোর দায়িত্ব পালন করেছিলেন রেলপুলিশের ওই কর্মীরা। নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিনরাত ভিড় সামলেছেন। আর তাই মহাকুম্ভ শেষ হওয়ার পর ছুটি উদ্যাপনের জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন তাঁরা। ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, অনুষ্ঠান উপলক্ষে একটি মঞ্চ বাঁধা হয়েছে। তার উপরে নাচছেন রেলপুলিশের কর্মীরা। মাইকে ভোজপুরি গান ‘ললিপপ লাগেলু’ বাজছে। সেই গানের তালে তালে কোমর দোলাচ্ছেন তাঁরা। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
আরও পড়ুন:
ভাইরাল ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘সচিন গুপ্ত’ নামে একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিধ্যেই বহু মানুষ সেই ভিডিয়োটি দেখেছেন। লাইক-কমেন্টের ঝড় উঠেছে। ভিডিয়োটি দেখে রেলপুলিশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ। আবার পুলিশের পোশাকে নাচ করার জন্য ওই কর্মীদের নিন্দায় সরব হয়েছেন অনেকে। ভিডিয়ো দেখে এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশের পুলিশকে কুর্নিশ। মহাকুম্ভের আয়োজনে তারা অনেক পরিশ্রম করেছে।’’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘খাকি পোশাক পরে এই ধরনের গানে নাচা উচিত হয়নি। এটা উর্দির প্রতি অসম্মান।’’
উল্লেখ্য, মহাকুম্ভমেলায় ভারতের রেলস্টেশন এবং ট্রেনে নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে আরপিএফ। ট্রেন ছাড়ার আগে এবং পরে ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধমূলক কার্যকলাপ প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রেও তাঁরা সজাগ ছিলেন। তীর্থযাত্রীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রেলস্টেশন এবং প্ল্যাটফর্মে আরপিএফ কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছিল।