সমাজমাধ্যমে প্রায়শই নিজের বিলাসী জীবনের ঝলক দেখাতেন মাদক কারবারের মূল পান্ডা। প্রতীকী ছবি।
হাজার হাজার টাকায় চুলের কেতা হোক বা মার্সিডিজ়ে রাখা থরে থরে নোটের বান্ডিল, দেখনদারির শেষ ছিল না মাদক পাচারের মূল ‘চক্রীর’। এ সবই সমাজমাধ্যমে ফলাও করে দেখাতেন তিনি। তবে শেষমেশ সেই দেখনদারি কাল হল! তাঁকে হাতেনাতে পাকড়াও করল পুলিশ। ২০ ডিসেম্বর তাঁর সাজা শোনাবে বার্মিংহাম ক্রাউন কোর্ট।
পুলিশের দাবি, মাদক পাচারের কারবারে গোটা বার্মিংহামে এক জনই তরুণী পান্ডা রয়েছেন, যিনি হেনা আশরফ। বার্মিংহাম থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের ডেভন শহর পর্যন্ত এলাকায় তাঁর নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে রয়েছে। অভিযোগ, ওই এলাকায় কোকেন এবং হেরোইনের মতো মাদকের জাল বিছিয়েছিলেন তিনি। তবে তাঁকে কিছুতেই ধরা যাচ্ছিল না। যদিও স্ন্যাপচ্যাটের মতো সমাজমাধ্যমে প্রায়শই নিজের বিলাসী জীবনের ঝলক দেখাতেন হেনা। কখনও দেখা গিয়েছে, লন্ডনের কিংসব্রিজ়ের একটি সালোঁতে ৫০০ পাউন্ড (ভারতীয় মুদ্রায় যা ৪৭ হাজার ৬৪৮ টাকা) খরচ করে চুলের ছাঁট দিচ্ছেন, তো কখনও বা নিজের মার্সিডিজ়ের আসনে থরে থরে নোটের বান্ডিল সাজিয়ে রেখেছেন। তাতেই নাকি কাল হয়েছে হেনার।
ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘ডেইলি স্টার’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে অ্যাভন এবং সমারসেট কাউন্টি পুলিশের যৌথ অভিযানে ধরা পড়ে যান হেনা। বার্মিংহাম থেকে নিজের মার্সিডিজ়ে চড়ে টর্কে শহরে যাওয়ার সময় তাঁকে ব্রিজ়ওয়াটার এলাকায় পাকড়াও করে পুলিশ। অভিযোগ, গোড়ায় পুলিশের কাছে ভুয়ো পরিচয় দিলেও হেনার মোবাইল ফোন ঘেঁটে মাদক কারবারের বহু তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়। এর পরেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হেনার বাড়ি থেকে আরও কয়েকটি ফোনেও ওই কারবারের সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায় বলে দাবি।
ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশের ডিটেকটিভ সুপারিন্টেডেন্ট সৈয়দ হুসেনের দাবি, কাউন্টি এলাকায় যে ভাবে একার হাতে মাদকের কারবার চালাতেন ওই অভিযুক্ত তরুণী, তা বেশ চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy