—প্রতীকী ছবি।
মাত্র দু’বছর বয়সে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ৩৪ বছর পর নিজের পরিবার ফিরে পেয়েছিলেন এক যুবক। কিন্তু সেই পারিবারিক মিলনের শেষটা মধুর হল না। দীর্ঘ দিন পর পরিবারকে ফিরে পাওয়ার আনন্দ ক্ষণস্থায়ী হয়ে দাঁড়াল ইউ বাওবাও নামের ওই চিনা যুবকরে কাছে। আর্থিক কারণে পরিবারের সঙ্গে মতবিরোধের কারণ দ্বিতীয় বারের জন্য পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেন সেই যুবক।
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরে নিজের আসল পরিচয় জানতে পারেন বাওবাও। ফিরে যান জন্মস্থানে। যখন তার বয়স দু’বছর, তখন তাকে সিচুয়ান প্রদেশে তার দাদুর বাড়ি থেকে অপহরণ করে হেনান প্রদেশের এক ধনী ব্যক্তির বাড়িতে পাচার করে দেওয়া হয়। সেখানে তিনি লি কিয়াং নাম নিয়ে নতুন পরিচয়ে বড় হতে থাকেন। এত দিন পরে নিজের জন্মদাত্রীকে খুঁজে পান তিনি। তত দিনে বাওবাওয়ের মা ও বাবা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তাঁর দু’টি ভাইও রয়েছেন। বেশ কয়েক বছর পর পরিবারে ফিরে পাওয়ার কাহিনি সমাজমাধ্যমে জনপ্রিয় হওয়ার পরই বাওবাওয়ের অনুরাগীরা তাঁকে লাইভ স্ট্রিমিংয়ের পরামর্শ দেন।
লাইভ স্ট্রিমিংয়ের আয় দিয়েই তাঁর পরিবারের জন্য আর্থিক প্রয়োজন মিটত। এই ব্যবসায় ভাল আয় হওয়া শুরু হতেই বাওবাওয়ের পরিবার সেই উপার্জনের ৬০ শতাংশ দাবি করতে থাকে। তাতেও সম্মত হন তিনি। পরে তাঁর ছোট ভাই বাওবাওকে তাঁর অংশ দিতে অস্বীকার করায় পারিবারিক কলহ চরম আকার নেয়। বাওবাওকে পরিবারে ফিরিয়ে নিয়ে তাঁর প্রতি অনুগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান তাঁর মা ও ভাই। এমনকি তাঁকে মারধর করার হুমকিও দেওয়া হয় বলে ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে’ জানিয়েছেন বাওবাও। বাওবাও অনুভব করেছিলেন তাঁর মা অন্য দুই পুত্রের প্রতি পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি শুধুমাত্র অর্থের জন্যই বাওবাওকে আশ্রয় দিয়েছিলেন। যে পরিবারে বাওবাও প্রতিপালিত হয়েছিলেন সেখানেও তাঁকে লাঞ্ছনা সহ্য করতে হয়েছিল। ১৯ বছর বয়সে সেই বাড়ি ছেড়ে চলে যান তিনি। কাজের সন্ধানে তিনি সাংহাই এবং বেজিং যান। পরে ডেলিভারি এজেন্ট হিসাবে কাজ করা শুরু করেন। আপাতত নিজের পরিবার থেকে সমস্ত সংশ্রব ত্যাগ করে দিয়েছেন বাওবাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy