এ ভাবেই ছাদে পড়ে থাকতে দেখা যায় মেয়েটিকে। ছবি ভিডিয়ো থেকে।
দড়িতে আঁটসাঁট করে বাঁধা হাত-পা। বাঁধন খোলার আপ্রাণ চেষ্টা করেও কিছুতেই পেরে উঠছে না। যন্ত্রণায় চিৎকার করলেও তা শোনার জন্য আশপাশে কেউ নেই। গ্রীষ্মের দুপুরে চড়া রোদে খোলা ছাদে একলা পড়ে ছটফট করছে একরত্তি একটি মেয়ে। বুধবার এমন ছবিই ভাইরাল হয়েছে।
নেটমাধ্যমে ২৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়োতে বাচ্চাটির নিদারুণ অবস্থা দেখে অনেকেই শিউরে উঠেছেন। বাচ্চা মেয়েটিকে কে বা কারা এ ভাবে বেঁধে রেখেছেন, তা খতিয়ে দেখার জন্য সরব হয়েছেন অনেকে। ভিডিয়োটি নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অবশেষে নড়েচড়ে বসে দিল্লি পুলিশ।
After a video of a girl child tied up on the roof of a house surfaced on social media, all possible efforts were made by Delhi Police to ascertain her identity and circumstances. The family of the child has been identified and appropriate action initiated.#DelhiPoliceCares
— Delhi Police (@DelhiPolice) June 8, 2022
পুলিশ সূত্রে খবর, গোড়ায় মনে করা হয়েছিল যে ওই ভিডিয়োটি ২ জুন দিল্লির কারওয়াল নগর এলাকার কোনও এক জায়গায় তোলা হয়েছে। তবে সেখানে গিয়ে এ সম্পর্কে কোনও ঘটনার কথা জানা যায়নি। আরও অনুসন্ধানের পর পুলিশ জানতে পারে, ওই ভিডিয়োটি খজুরি খাস এলাকায় তোলা হয়েছে। শুরু হয় খোঁজখবর। এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও শিউরে ওঠার মতো তথ্য জোগাড় করে পুলিশ। পাঁচ বছরের ওই মেয়েটিকে শাস্তি দিয়েছিলেন তারই মা!
পুলিশ জানিয়েছে যে খজুরি খাস এলাকার ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি দাবি করেছেন, স্কুলের পড়াশোনা করেনি বলে মেয়েকে মাত্র ৫-৭ মিনিটের জন্য ছাদের কড়া রোদে ফেলে রেখে দিয়েছিলেন। মেয়েকে শাস্তি দিতেই এমন করেছেন বলে স্বীকার করেছেন ওই মহিলা।
ঘটনার পর দিল্লি পুলিশ টুইট করে জানিয়েছে, ওই শিশুটির পরিচয় জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, এই ঘটনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে।
যদিও ওই মহিলার বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশ কী পদক্ষেপ করেছেন, তা জানা যায়নি। তবে নেটব্যবহারকারীদের একাংশ দাবি তুলেছেন, এই অমানবিক আচরণের জন্য শিশুর মাকেও হাত-পা বেঁধে চড়া রোদে ফেলা রাখা হোক!
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy