—প্রতীকী ছবি।
পশুপ্রেমী মানুষেরা তাঁদের পোষ্যদের জন্য অনেক কিছুই করতে পারেন। তাঁদের কাছে সেই সকল বিষয় সাধারণ মনে হলেও, অন্যান্যদের কাছে সেগুলিই নিছক অসাধারণ। কেউ কেউ আবার সেগুলিকে ‘আদিখ্যেতা’র পর্যায়েও ফেলে থাকেন। কিন্তু শুনলে অবাক হবেন, এই পশুপ্রেমের ফলে সম্পর্ক বিচ্ছেদের দোরগোড়া পর্যন্তও পৌঁছে যায়।
‘স্বামী আমার চেয়ে পোষ্য বেড়ালকে বেশি ভালবাসে’, সম্প্রতি এই রকমই এক অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন বেঙ্গালুরুর এক মহিলা। কর্নাটক হাই কোর্টে এই অদ্ভুত গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ দায়ের হয়। প্রথমে বেড়ালটি নিয়ে ঝামেলাটি নিজেদের মধ্যেই থাকলেও, পরবর্তী কালে সেটি এতটাই বড় আকার ধারণ করে যে, সেই তরুণী আইনি পদক্ষেপ করতে বাধ্য হন।
সংবাদমাধ্যম ‘ডেকান হেরাল্ড’-এর রিপোর্ট অনুসারে, তরুণীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাটি প্রথমে রুজু করা হয়। কিন্তু এই বিষয়ে স্বামীর কোনও দোষ না থাকায় পরবর্তী কালে আদালত থেকে মামলাটি খারিজ করা হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ, অভিযোগের পুরোটাই স্বামীর তাঁর স্ত্রীর থেকে পোষ্য বেড়ালের প্রতি বেশি সংবেদনশীল হওয়ার উপর কেন্দ্র করে করা। এই ক্ষেত্রে আদালত কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারবে না, সমস্যাটি তাঁদের নিজেদের মধ্যেই মিটিয়ে নিতে হবে। বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্নের মতে, তরুণীর অভিযোগটি পুরোটাই ছিল কী ভাবে তাঁর স্বামী স্ত্রীর থেকে বেশি পোষ্য বেড়ালের যত্ন নেয় সেটি ঘিরে। বেড়ালটিও বহু বার তরুণীর প্রতি আক্রমণাত্মক হয়েছে, তাঁকে আঁচড়েও দিয়েছে। পোষ্যের এই আচরণ তাঁদের মাঝে ঝামেলাটিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এটি কোনও ভাবেই আইনের সাহায্য নিয়ে মেটানোর বিষয় নয় বলেই জানিয়েছেন বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy