সরোজিনী মার্কেটে হিরোশি সুজুকি। ছবি: সংগৃহীত।
এ দেশের শৌখিন রেস্তরাঁর মেনুতে শোভা পায় তাঁর দেশের সাধারণ খাবার সুশি। কিন্তু জাপানের রাষ্ট্রদূতের শৌখিন রেস্তরাঁর সাজানো পরিবেশ না পসন্দ। ভারতে এসে তিনি মজেছেন এ দেশের রাস্তার ধারে পাওয়া খাবারে। ফুচকা, পাওভাজি, মিসাল পাও, আলু টিক্কি কিছুই বাদ দিচ্ছেন না ভারতে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোশি সুজুকি।
মাস কয়েক হল নতুন দায়িত্ব নিয়ে সস্ত্রীক ভারতে এসেছেন তিনি। তার পর থেকেই দু’জনে নানারকম রাস্তার খাবার খেয়েছেন। তার ভিডিয়োও প্রকাশ করেছেন এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর সেই সব ভিডিয়ো দেখে উৎসাহ দিয়েছেন। মোদী বলেছিলেন, ভারতের খাবারের বৈচিত্র এতটাই যে তা আপনার ভাল লাগতে বাধ্য। মোদীর কথা মাথায় রেখেই সম্ভবত আবার দিল্লির রাস্তার খাবারের স্বাদ নিতে বেরিয়েছিলেন হিরোশি। তবে এ বার তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক ইউটিউবার। তাঁর অনুরোধে তিনি বলিউডের গানে নেচেছেন, শপিং মলের বদলে সাধারণ দোকানে ঢুকে ভারতীয় পোশাক কিনেছেন আর রাস্তার ধারের দোকানে খেয়েছেন আলু টিক্কি চাট।
দিল্লির সরোজিনী মার্কেটেই খাওয়াদাওয়া এবং কেনাকাটা করেছেন হিরোশি। সেখানকারই একটি দোকানে ঢুকে কিনেছেন লাল রঙের পাঞ্জাবি। একটি ভারতীয় জ্যাকেট কেনারও ইচ্ছে ছিল তাঁর। পছন্দও করেছিলেন একটি। শেষ পর্যন্ত সেটি কেনা হল কি না তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। কারণ দোকান থেকে শুধু লাল রঙের পাঞ্জাবিটি পরেই বেরোতে দেখা যায় রাষ্ট্রদূত।
খাওয়া দাওয়া ছাড়া শপিং হতে পারে না। কেনাকাটার মাঝেই চলতে থাকে খাওয়া দাওয়াও। জাপানে সাধারণত কম মশলাদার খাবার খাওয়া হয়। এর আগে পাওভাজি খেয়ে ঝালও লেগেছিল জাপানি রাষ্ট্রদূতের। তবে এতদিনে বোধ হয় তাঁর জিভ সয়েছে। তাই দেখা গেল, আলু টিক্কি চাট খেয়ে বিশেষ ঝাল লাগল না তাঁর। উল্টে তার পরেও তিনি চিকেন মোমো খেলেন, খেলেন ঝাল চাটনি ছড়ানো রাম লাড্ডুও। আর এই সব কিছুর মধ্যে কোনটি সেরা লাগল? জাপানি রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, আলু টিক্কি আর চিকেন মোমো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy