টানা বৃষ্টি, তুষারপাত ও ভূমিধসের জেরে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশ। শুক্রবার থেকে হিমাচলের পাহাড়ি অঞ্চলে ভারী তুষারপাত শুরু হয়েছে। পাহাড়ের নীচের এলাকা আবার প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে। লাহুল-স্পিতি, কুলু, কিন্নৌর, মান্ডি, চাম্বা, কাংড়ার বেশ কয়েকটি এলাকা তুষারপাত এবং তুষারধসে বিধ্বস্ত। লাহুল-স্পিতির কোকসার, সিসু, কেলং, জিসপা, তান্ডি, গোন্ডলায় প্রায় চার ফুট তুষারপাত হয়েছে। লাহুলের জোবরাং গ্রামে তুষারধস নেমেছে। আরও একটি তুষারধস নামে তুপচিলিং গ্রামের কাছে।
আরও পড়ুন:
তুষারপাত এবং বৃষ্টিপাতের কারণে রাজ্যের পাঁচটি জাতীয় সড়ক-সহ ৫৮৩টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মানালিতে তুষারপাত, বৃষ্টিপাত এবং তুষারধসের ফলে তৈরি হয়েছে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। সারি সারি গাড়ি রাস্তায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। কোথাও গাড়ির ছাদ পর্যন্ত ডুবে গিয়েছে কাদা ও জমা জলে। যানবাহনগুলি ঢেকে রয়েছে পুরু বরফে। সেই দৃশ্যই ধরা পড়েছে ইনস্টাগ্রামের একটি ভিডিয়োয়। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, পাহাড়ের নিচু এলাকায় হড়পা বানের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ভারী বৃষ্টির জেরে। প্রবল স্রোতে ভেসে গিয়েছে সড়কগুলি। পাকা রাস্তা ভেঙে দিয়ে খাদের মতো অংশ তৈরি হয়ে গিয়েছে। রাস্তায় দাঁড় করানো গাড়িগুলিও বরফগলা জলে ভেসে যাওয়ার উপক্রম। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে বাইক চালাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ ব়়জায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন এক চালক। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে কয়েকটি যানবাহন ভেসে গিয়েছে বলেও খবর।
অন্য দিকে, শুক্রবার উত্তরাখণ্ডে তুষারধস নামে। মানা বর্ডার রোড অর্গানাইজ়েশনের অন্তত ৫৫ জন শ্রমিক আটকে পড়েন। তাঁদেরই এক ক্যাম্পের কাছে তুষারধসের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়। উদ্ধার করা হয় বেশির ভাগ শ্রমিককে।