বিবাহিত অধ্যাপকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল এক ছাত্রীর। সেই গোপন সম্পর্কের কথা সমাজমাধ্যমে ফাঁস করে দিলেন ছাত্রীরই প্রাক্তন প্রেমিক। ১৪ স্লাইডের একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজ়েন্টেশন তৈরি করে শিক্ষক ও ছাত্রীর ব্যক্তিগত বার্তালাপের স্ক্রিনশট ছড়িয়ে দেন সমাজমাধ্যমে। সেই পোস্ট ভাইরাল হতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী ডিনের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অভিযুক্ত অধ্যাপককে। নিলম্বিতও করা হয়েছে তাঁকে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে চিনের জিয়াংসু প্রদেশের নানজিং বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করেছে অভিযুক্ত অধ্যাপক সঙের বিরুদ্ধে ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক আচরণের অভিযোগ জমা পড়েছিল। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ২৫ ফেব্রুয়ারি শাস্তিস্বরূপ তাঁর পদটি খোয়া গিয়েছে। এক ছাত্রীর সঙ্গে সঙের আপত্তিকর আচরণ ও অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে তথ্য প্রকাশের কয়েক দিন পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৪৬ বছর বয়সি সং এবং তাঁর ছাত্রীর একান্ত কথোপকথনের বেশ কিছু স্ক্রিনশট প্রকাশিত হয় সমাজমাধ্যমে।
ওই ছাত্রীর প্রেমিক জানান, তাঁর বান্ধবী হঠাৎ অদ্ভুত আচরণ করতে শুরু করায় তাঁর প্রতি সন্দেহ তৈরি হয়। বান্ধবীর ফোনের চ্যাট দেখে তিনি নিশ্চিত হন তাঁকে প্রতারণা করছেন তাঁর প্রেমিকা। প্রেমিক জিয়াং (নাম পরিবর্তিত) জানিয়েছেন যে, এক সময়ে তাঁর বান্ধবী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন। তখন জিয়াংয়ের প্রেমিকা জানিয়েছিলেন তিনি সঙের সঙ্গে হোটেলে নিভৃতে সময় কাটাচ্ছেন। জিয়াং বলেন, ‘‘যখন আমি বুঝতে পারলাম যে আমার বান্ধবী তাঁর বিবাহিত অধ্যাপকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন, তখন আমি দিগ্বিদিকজ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছিলাম।’’ বেশ কয়েক দিন কেটে যাওয়ার পর তিনি সিদ্ধান্ত নেন, এই সম্পর্কের কথা সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করবেন।