Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Icche Gaon

সঙ্গীকে নিয়ে বেড়াতে যাবেন? ঘুরে আসতে পারেন ছবির মতো গ্রাম ‘ইচ্ছেগাঁও’ থেকে

শীতে সোয়েটার পরে আইসক্রিম খাওয়ার যেমন আলাদা মজা রয়েছে, তেমনই শীতে ঠান্ডার জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার আলাদা অনুভূতি। খুব শীতকাতুরে না হলে এই ঠান্ডায় ঘুরে আসতে পারেন ইচ্ছেগাঁও থেকে।

এই গ্রামের উপর মাঝেমাঝেই নেমে আসে পেঁজা তুলোর হালকা মেঘ।

এই গ্রামের উপর মাঝেমাঝেই নেমে আসে পেঁজা তুলোর হালকা মেঘ। ছবিঃ সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:৪৬
Share: Save:

ঘুরে বেড়ানো যাঁদের নেশা, কোনও মরসুমের তোয়াক্কা তাঁরা করেন না। বারো মাসই তাঁদের মন পালাই পালাই করে। শীতকাল এলে বেড়াতে যাওয়ার উৎসাহ আরও বেড়ে যায়। শীতে সোয়েটার পরে আইসক্রিম খাওয়ার যেমন আলাদা মজা রয়েছে, তেমনই শীতে ঠান্ডার জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার আলাদা অনুভূতি। খুব শীতকাতুরে না হলে, এই ঠান্ডায় ঘুরে আসতে পারেন ইচ্ছেগাঁও থেকে।

কালিম্পং থেকে এই জায়গার দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। খুবই ছোট্ট গ্রাম। হাতেগোনা কয়েকটি কাঠের বাড়ি। রঙিন অর্কিড আর পাহাড়ি জংলা ফুলে রঙে রঙে ভরে উঠেছে চারদিক। দূর থেকে দেখলে মনে হবে গ্রাম নয়, যেন খুব যত্ন নিয়ে ক্যানভাসে একটি ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী। পাকদণ্ডী পথ বেয়ে যখন এই গ্রামে পৌঁছবেন, মনে হবে যেন স্বপ্ন দেখছেন। এই গ্রামের উপর মাঝেমাঝেই নেমে আসে পেঁজা তুলোর হালকা মেঘ। লেপচা ভাষায় ‘ইচেগাঁও’ কথাটির অর্থ হল উঁচু গ্রাম। পাহাড়ের কোলে এই গ্রামের কোনও টিলার উপর দাঁড়িয়ে সূর্যাস্তের দৃশ্য আপনার মন কেড়ে নিতে বাধ্য।

সাজানো-গোছানো এই গ্রাম ঘুরে ফেলতে পারেন পায়ে হেঁটে।

সাজানো-গোছানো এই গ্রাম ঘুরে ফেলতে পারেন পায়ে হেঁটে। ছবিঃ সংগৃহীত

সাজানো-গোছানো এই গ্রাম ঘুরে ফেলতে পারেন পায়ে হেঁটে। এখানে কোনও ক্লান্তি নেই, কোলাহল নেই, শুধু আছে এক অপার শান্তি। আর বিস্ময়ে ভরে থাকা। রাত নামলে যেন আরও বেশি সুন্দরী হয়ে ওঠে ইচ্ছেগাঁও। নিকষ কালো অন্ধকারে ইচ্ছেগাঁওয়ের বাতাস আদিম নির্জনতার কথা বলে। গ্রাম ঢলে পড়ে ঘুমে, কিন্তু ইচ্ছেগাঁওয়ের আকাশে জেগে উজ্জ্বল কিছু তারা। সেই নক্ষত্রের আলো জোনাকির মতো ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। ইচ্ছেগাঁওয়ের ঘুম ভাঙায় কাঞ্চনজঙ্ঘা। জানলার পর্দা সারালেই দেখতে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘার শ্বেতশুভ্র রূপ। সূর্যের আলো পাহাড়ের গায়ে বিচ্ছুরিত হয়ে গোটা গ্রামে আনাচ-কানাচে ছড়িয়ে পড়ে। ট্রেক করার ইচ্ছা থাকলে এখান থেকেই বেরিয়ে পড়তে পারেন। এই গ্রামের পূর্ব দিকে রয়েছে সিলারিগাঁও। উঁচু উঁচু পাইনের বন আর পাখিদের কলকাকলিতে পাহাড়ের কোলে হারিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।

কী ভাবে যাবেন?

হাওড়া কিংবা শিয়ালদহ থেকে দূরপাল্লার ট্রেন ধরে নিউ জলপাইগুড়ি যেতে হবে। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে সোজা কালিম্পং। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে ইচ্ছেগাঁও।

কোথায় থাকবেন?

এখানে প্রচুর হোমস্টে রয়েছে। পছন্দমতো কোনও একটিতে থাকলেই হল। তবে সব সময়ে ফাঁকা পাওয়া যায় না। তাই আগে থেকে বুক করে যেতে হবে। নয়তো জায়গা পাওয়া মুশকিল হতে পারে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy