তাইল্যান্ডে গেলে কোথায় কোথায় ঘুরবেন? ছবি: সংগৃহীত।
তাইল্যান্ড যেতে আগামী বছরেও আর ভিসার জন্য খরচ লাগবে না ভারতীয়দের। সম্প্রতি ভিসামুক্ত প্রবেশ নীতির মেয়াদ আরও বৃদ্ধি করল ট্যুরিজ়ম অথরিটি অফ তাইল্যান্ড বা ট্যাট। জানা গিয়েছে, অনির্দিষ্ট কালের জন্য ভারতীয়দের জন্য এই নীতি বজায় থাকবে।
ভারতীয়দের বিদেশ ভ্রমণের তালিকায় বরাবরই জনপ্রিয় তাইল্যান্ড।
প্রতি বছরই এ দেশ থেকে অসংখ্য পর্যটক ব্যাংকক, পাটায়া, ফুকেটে যান। পরিসংখ্যান বলছে, এই বছর অক্টোবর পর্যন্ত তাইল্যান্ডে গিয়েছেন ১৬ লক্ষ ভারতীয়। পর্যটনের প্রসারে আগেই ভারতীয়দের জন্য ভিসা ছাড়া ভ্রমণের সুযোগ দিয়েছিল দেশটি। ২০২৩ সালের ১০ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ মে পর্যন্ত ভারতীয় পর্যটকদের জন্য ‘ফ্রি ভিসা’র কথা ঘোষণা করেছিল। পরবর্তী কালে তা বাড়িয়ে নভেম্বর করা হয়। ফের বাড়ল সেই মেয়াদ।
এতে ঠিক কী সুবিধা হবে?
বিদেশে যেতে গেলে পাসপোর্টের পাশাপাশি ভিসার দরকার হয়। যাওয়ার আগে বা সেই দেশে গিয়ে ভিসা করাতে হয়। এ জন্য খরচও লাগে। এক এক দেশে এক এক রকম খরচ এবং নিয়মকানুন থাকে। তবে ভিসা-মুক্ত পর্যটনের সুবিধা হল, বৈধ পাসপোর্ট থাকলেই তাইল্যান্ড যাওয়া যাবে। সেই দেশে পৌঁছে অভিবাসন কাউন্টারে গিয়ে পাসপোর্ট দেখালেই তাঁরা স্ট্যাম্প মেরে দেবেন। এবং সে দেশে ঘোরার ছাড়পত্র মিলবে। এখানকার নিয়ম অনুযায়ী ‘ফ্রি ভিসা’তে ভারতীয়েরা ৬০ দিন সেখানে থাকতে পারবেন। অনুমতিসাপেক্ষে মেয়াদ আরও ৩০ দিন বাড়ানো যাবে।
এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঘুরে নিত পারেন তাইল্যান্ড। এক নজরে দেখে নিন কোথায় কোথায় যাবেন?
ফুকেট
তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে ৮৬২ কিলোমিটার দূরের সৈকত শহর ফুকেট। এটি আসলে একটি বিশাল দ্বীপ। এখান থেকেই ঘুরে নেওয়া যায় ফি ফি আইল্যান্ড এবং জেমস বন্ড আইল্যান্ডে।
ফুকেটের নৈশজীবন বেশ উপভোগ্য। এখানে দেখতে পারেন ক্যাবারে নাচ, ম্যাজিক শো। রয়েছে একাধিক সৈকতও।
তাইল্যান্ডের অন্যতম আকর্ষণ ফি ফি। ফুকেট থেকে ক্রুজ ধরে যাওয়া যায় ফি ফি আইল্যান্ডে। স্পিড বোটেও যেতে পারেন ফি ফি। ছবির মতো সাজানো চারপাশ। মিহি বালুতটে ধাক্কা খাচ্ছে সমুদ্রের নীল জল। এখানে স্নরকেলিংও করা যায়। চেখে দেখতে পারেন এখানকার স্থানীয় খাবার।
ফুকেট থেকে ঘুরে নেওয়া যায় জেমস বন্ড আইল্যান্ডেও। এখানেই জনপ্রিয় হিন্দি ছবি ‘কহো না প্যার হ্যায়’-এর শুটিং হয়েছিল। ‘লং টেল’ নামে এক ধরনের নৌকোয় চেপে ঘুরে আসা যায় জেমস বন্ডে। এখানে রয়েছে চুনাপাথরের গুহা। ছোট্ট নৌকায় চেপে জেমস বন্ড থেকেও ভেসে পড়া যায় গুহাপথে।
ক্র্যাবি
তাইল্যান্ডের দক্ষিণ পশ্চিমে ফাং না বের মুখে ক্র্যাবি। রাজধানী ব্যাংকক থেকে দূরত্ব প্রায় ৭৮৩ কিলোমিটার। সমুদ্র তীরবর্তী ক্র্যাবি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য জনপ্রিয়। এখান থেকে ঘুরে নিতে পারেন রেলে সমুদ্রসৈকত, আও নাগ সৈকত, ওয়াট থাম স্যুয়ে বা টাইগার কেভ টেম্পল, ফাং না বে। রোমাঞ্চের স্বাদ পেতে চাইলে ক্র্যাবি থেকে কায়াকে চেপে পাড়ি দিতে পারেন আও থালানে।
পাটায়া
তাইল্যান্ডের একটি বড় শহর হল পাটায়া। সৈকত শহর জুড়ে গগনচুম্বী হোটেল, আবাসন। এখানকার শিল্প-সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে দেখে নিন আলকাজ়ার শো। শিল্পীদের নৃত্যশৈলী, উপস্থাপনা, নাটকীয়তা কয়েকটি ঘণ্টা মোহিত করে রাখবে। এক দিনের ভ্রমণে এখানে থেকে যেতে পারেন কোরাল দ্বীপে। সমুদ্রের বুকে স্পিডবোটে যাত্রার আনন্দই আলাদা। সঙ্গে থাকবে জলক্রীড়ার সুযোগ।
চাইলে প্যারাসেলিং করতে পারেন, সমুদ্রের নীচ দিয়ে হাঁটতে পারেন। রয়েছে ওয়াটার স্কুটার এবং ব্যানানা বোট রাইডের ব্যবস্থা। কোরাল দ্বীপের স্বচ্ছ জলে স্নান না করলে বেড়ানোর অর্ধেক আনন্দ মাটি। এ ছাড়া, পাটায়া থেকে ঘুরে নিতে পারেন ওয়াট ফ্রা, টাইগার পার্ক, মিনি সিয়াম, ওয়াকিং স্ট্রিট-সহ আরও অনেক কিছুই।
ব্যাংককেও ঘুরে নিতে পারেন। সেখানেও জলের নীচের অ্যাকোরিয়াম, চিড়িয়াখানা, বৌদ্ধ মন্দির-সহ অনেক কিছুই দেখার আছে। ঘুরে নিতে পারেন চিয়াং মাই এবং চিয়াং রাই-ও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy