বিদেশ গিয়ে খেলাও হবে, ঘোরাও হবে। ছবি: সংগৃহীত।
এ বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দামামা বেজে গিয়েছে। ১ জুন থেকে শুরু হয়েছে বিশ্বকাপের যাত্রা। ফাইনাল ২৯ জুন। এক মাস ধরে আমেরিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিভিন্ন স্টেডিয়ামে হবে খেলা। তবে ভারতের গ্রুপ পর্বের চারটি ম্যাচই হবে আমেরিকায়।
বুধবার অর্থাৎ ৫ জুন নিউ ইয়র্কের মাটিতে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েছে ভারত। তবে গোটা দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা তাকিয়ে আছে ৯ জুন অর্থাৎ শনিবারের ভারত-পাক ম্যাচের দিকে। নিউ ইয়র্কেই হবে সেই ম্যাচ।
‘উঠল বাই তো ইডেন গার্ডেন্স যাই’, এটি সম্ভব হলেও, সাত সমুদ্র আর তেরো নদী পেরিয়ে আমেরিকায় যাওয়া সম্ভব নয়। তবু ক্রিকেটের প্রতি অদম্য ভালবাসায় যদি শত বাধা সত্ত্বেও বিদেশ চলে যান, তা হলে শুধু খেলা দেখে ফিরে এলে বোকামি হবে। কারণ নিউ ইয়র্কে ঘুরে দেখার মতো অনেক কিছু আছে।
পাশের শহর ফ্লোরিডায় ১২ জুন খেলতে নামবে ভারতীয় দল। ছবির মতো সুন্দর সে শহরও। খেলা দেখা ছাড়াও হাতে সময় থাকলে চষে ফেলতে পারেন আমেরিকা।
নিউ ইয়র্ক
‘নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম’ হল নিউ ইয়র্ক শহরের অন্যতম ঐতিহ্য। ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা থাক কিংবা না থাক, এই স্টেডিয়ামে এক বার ঘুরে না দেখলেই নয়।
এই শহরের সমুদ্র সৈকতও অত্যন্ত মনোরম। মাছ ধরার শখ থাকলে ‘ক্যাপট্রি স্টেট পার্ক’-এ গিয়ে নৌকো ভাড়া করা যায়। এখানকার ফায়ার আইল্যান্ডটিও ঘুরে দেখার মতো। এ ছাড়াও বহু প্রাচীন ‘সানকেন ফরেস্ট’-এ গেলে অন্য রকম অভিজ্ঞতার সাক্ষী হওয়া যাবে। ওয়াল্ট হুইটম্যান, রুজভেল্টের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিত্বদের বাসস্থানও এ শহরেই। সে স্থানগুলি ঘুরে দেখার মতো।
‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’, ‘এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং’ হল এ শহরের অন্যতম নিদর্শন। টাইমস স্কোয়্যার যেমন কখনও ঘুমোয় না। সারা ক্ষণ কোলাহল চলতে থাকে। ‘মেট’ এবং ‘মোমা’র মতো জাদুঘরের গা ছমছমে অনুভূতি না পেলে জীবনই বৃথা।
টেক্সাস
নিউ ইয়র্কের মতো টেক্সাসও কম পরিপাটি আর ঐতিহ্যমণ্ডিত নয়। দর্শনীয় স্থান, বিনোদন, ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ একটি শহর। এখানকার হর্স পার্ক থেকে সফর শুরু করা যেতে পারে।
ডিলি প্লাজার ষষ্ঠ তলায় বহু প্রাচীন জাদুঘর কিংবা জর্জ ডব্লু বুশ প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরি অনেক ইতিহাসের সাক্ষী। এই শহরের ‘পেরোট মিউজিয়াম অফ নেচার অ্যান্ড সায়েন্স’-এ রয়েছে ডাইনোসরের কঙ্কাল।
এখানকার ‘ক্লাইড ওয়ারেন পার্ক’ দাবা খেলার জন্য বিখ্যাত। ‘মেয়ারসন সিম্ফনি সেন্টার’-এ একটা সন্ধে কাটালেই মন হারিয়ে যাবে সুরের দেশে। এ ছাড়াও এ শহরে রয়েছে ৩০টিরও বেশি রেস্তরাঁ, লাইভ থিয়েটার, আর্ট গ্যালারি এবং আরও অনেক কিছু। হাতে দু’দিন সময় থাকলে টেক্সাস চষে ফেলা যাবে।
ফ্লোরিডা
ফ্লোরি়ডা হল সৈকত শহর। সমুদ্র সৈকতে গেলেই মন ভাল হয়ে যায়। এখানকার ‘বাটারফ্লাই গার্ডেন’ বিখ্যাত। এ বাগানে রঙিন প্রজাপতির ওড়াউড়ি ছাড়াও চোখে পড়বে হামিংবার্ডের আনাগোনা, কচ্ছপের হাঁটাচলা। এই শহরের দুর্গগুলি দর্শনীয় স্থান।
‘গালফস্ট্রিম পার্ক’ হল কেনাকাটা এবং নানা স্বাদের খাবার চেখে দেখার অন্যতম স্থান। ‘ব্রোওয়ার্ড সেন্টার ফর দ্য পারফর্মিং আর্টস’, ‘পম্পানো বিচ অ্যাম্পিথিয়েটার’, ‘এনএসইউ আর্ট মিউজিয়াম’— এ শহরের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের ভাঁড়ার। এ শহরে আছে বিশ্বের বৃহত্তম শপিং মল ‘সগ্র্যাস মিলস’। খেলা দেখার শেষে এই শহর চষে ফেললে অভিজ্ঞতার ঝুলি ফুলেফেঁপে উঠবে খানিকটা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy